রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক তোড়জোড় চালানোর পরিকল্পনা করছিল। এছাড়াও থার্টি ফার্স্ট নাইট, ধর্মীয় উৎসব এবং জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় উৎসবসমূহে তারা বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে উৎসবমুখর সাধারণ জনতা ও পথচারীদের নিকট হতে ছিনতাই করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে গুরুতর জখম করে থাকে। এসব ভুক্তভোগীদের বেশির ভাগই কোন আইন শৃংখলা বাহিনীর দ্বারস্থ হয় না। ফলে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা দিন দিন বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের প্রায় সকলেই মাদকাসক্ত। সাম্প্রতিককালে ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধির বিষয়টি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে র্যাব উক্ত ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। র্যাব-৩ বিগত ০৬ মাসে ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ৫৮টি অভিযান পরিচালনা করে দুই শতাধিক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা হতে রাত পর্যন্ত র্যাব-৩ এর কয়েকটি আভিযানিক দল একযোগে রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ, মুগদা, ওয়ারী, খিলগাঁও ও শাহজাহানপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য মোঃ সুজন ফকির (২০), ইউসুফ ঘরামী (২৪), মোঃ শুভ (২৬), মোঃ সবুজ (২০), মোঃ রাজ্জুল মোল্লা (৩৫), মোঃ হাবিবুর রহমান (২০), মোঃ মিলন (৩০), মোঃ স্বপন (২৮), মোঃ আল আমিন (২১), মোঃ সিদ্দিকুর রহমান টুটুল @ কালু (২৮), মোঃ রফিক (৩৬), মোঃ জাকির (৩০), মোঃ রুবেল আলম (২৬), মোঃ সজল (২৫), মোঃ নুরা (২২), মোঃ ইব্রাহীম খলিল (২৫), মোঃ সেলিম রেজা(২৮), মোঃ আজিম (২৪), মোঃ মোজ্জাম্মেল হোসেন (২৬), মোঃ মানিক হোসেন (২৫), মোঃ শামীম আলী (৩০), ওমর আলী @ মিলন (৪০), মোঃ রনি(৩৩), মোঃ রুবেল(৩২), মোঃ জাহাঙ্গীর আলম(৩৮), কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকালে উক্ত আসামীদের নিকট হতে সুইচ গিয়ার, চাকু, ক্ষুর, এন্টিকাটার, কাঁচি, ব্লেড, মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, যেকোন উৎসবকে কেন্দ্র করে এদের তৎপরতা বাড়ে। আসন্ন থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ তৈরী হলে এ সংঘবদ্ধ চক্রটি কয়েক রাত যাবৎ ছিনতাইয়ের জন্য উঠেপড়ে লাগে। এছাড়াও থার্টি ফার্স্ট নাইটে নাশকতা তৈরীর মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ছিনতাই করারও পরিকল্পনা ছিল এই কুচক্রটির। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
///