রাজধানীর চকবাজারে প্লাস্টিকের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও কর্মচারীকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) চকবাজার থানা পুলিশ। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, নুরুজ্জামান হাওলাদার, আ. আজিজ শিকদার, হাফেজ চৌকিদার ও দেলোয়ার হোসেন মোল্লা ওরফে দেলু। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার। বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর প্লাস্টিকের কাঁচামাল ব্যবসায়ী জুয়েল শিকদারের বাবা তার ছেলের নিখোঁজের বিষয়ে চকবাজার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে জুয়েল শিকদার ও তার কর্মচারী মোর্শেদ আলমের সর্বশেষ অবস্থান বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় নিশ্চিত করে। তিনি বলেন, পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী জুয়েল শিকদার প্লাস্টিকের পণ্য কিনে রিসাইকেল করে বিক্রি করতেন। আর সেই প্লাস্টিকের পণ্য বিক্রির ফাঁদে ফেলে জুয়েল ও তার কর্মচারী মোর্শেদকে বরিশালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পূর্ব পরিচিত দেলোয়ার হোসেন মোল্লা নামে এক ব্যক্তি তাকে অল্প দামে প্লাস্টিকের কাঁচামাল কেনার প্রস্তাব দেন। ব্যবসায়ী জুয়েল ও তার কর্মচারী গত ১৪ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার উলানিয়া ঘাটে যান। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় তিনদিন পর বরিশালের মুলাদি ও ইলিশায় প্লাস্টিক ব্যবসায়ী জুয়েল ও তার কর্মচারী মোরর্শেদের মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত জুয়েলের বাবা ডিএমপি চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবসায়ী জুয়েল শিকদার ও তার কর্মচারী মোর্শেদ আলম হত্যাকাণ্ডের জড়িত চারজনকে বরিশালের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, অপহরণকারীরা পরস্পর যোগসাজশে নিহতদের বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে যায়। পরে তাদের মাছ ধরার ট্রলারে উঠিয়ে মেঘনা নদীর মাঝামাঝি নিয়ে জোরপূর্বক টাকা ছিনিয়ে নেয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমদের চোখে মরিচের গুড়া দিয়ে গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়। গ্রেপ্তাররা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্য। তারা এর আগেও এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত করেছে।
///