করোনা মহামারি, দেশজুড়ে নাগরিকদের নিরাপত্তা, বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে থার্টি ফার্স্টের মতো যেকোনও অনুষ্ঠান উদযাপনে গত কয়েক বছর ধরে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করছে প্রশাসন।
এবারও থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বাসায় কিংবা বাড়ির ছাদে কোথাও জনসমাগম করে উদযাপনের সুযোগ নেই।
তবে সীমিত আকারে ঘরের ভেতরে পরিবারের সঙ্গে নিজেরা উদযাপন করতে পারবে। কোনও জনসমাগম করা যাবে না। পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে তারা এসব তথ্য জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘জঙ্গি ছিনতাই, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ এবং মিছিল এসবকে কেন্দ্র করে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর একটু বেশি সতর্ক থাকতে হচ্ছে। এবার প্রোগ্রাম যেহেতু অনেক বেশি, ফলে সবকিছুই সীমিত থাকবে। নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের অনেক বেশি তৎপরও থাকতে হচ্ছে।’
জানতে চাইলে ডিএমপির জনসংযোগ এবং মিডিয়া শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে বিধিনিষেধ ঢাকা মহানগরীর সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আগামীকাল সকালে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।’
থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে লোকসমাগম ও কোনও পার্টি করতে দেওয়া হবে না বলে এরইমধ্যে বলা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা দেশের সব বার বন্ধ থাকবে।
তবে সীমিত আকারে হোটেলগুলোর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। কিন্তু কোনোভাবেই ডিজে পার্টি করতে দেওয়া হবে না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় প্রকাশ্যে রাস্তা বা ফ্লাইওভার, এমনকি বাড়ির ছাদে ও যেকোনও উন্মুক্ত স্থানে উৎসব আয়োজন করা যাবে না।
থার্টি ফার্স্ট নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ইতোমধ্যে বলেছেন, রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। যেকোনও নাশকতা রোধে সারা দেশে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হবে। কোথাও কোনও উন্মুক্ত কনসার্ট আয়োজন করা যাবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। এছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধে আগামী ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা দেশের সব বার বন্ধ থাকবে।