স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে রাজধানী দৃষ্টিনন্দন, নিরাপদ বাসযোগ্য ও টেকসই শহর হবে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সে বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত জনঘনত্ব, বাসযোগ্যতা ও টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ এই দর্শণের অধীনে সড়ক যোগাযোগ, ইন্টারনেট-টেলি যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সুপেয় পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো সন্নিবেশিত হয়েছে। তাই গ্রামগুলোতে শহরের সুবিধা নিশ্চিত হলে শহরমুখী মানুষের চাপ কমবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ফজলে রেজা সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন ইশরাত ইসলাম, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক প্রমুখ।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য ও টেকসই করতে হবে। নাগরিক অধিকারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সকলকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজধানীকে বাসযোগ্য করার জন্য ডিটেইল এরিয়া প্লান (ড্যাপ) প্রনয়ণ করেছে সরকার। ড্যাপের বাস্তবায়ন রাজধানীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করবে। এটি সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে ঢাকাকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এগুলো বললে কিছু মানুষ সহ্য করতে পরে না। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের উন্নয়ন থেমে যায়। দেশ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়। এরপর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি, শিল্প-কারখানাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
নবচেতনা /আতিক