বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন না করার কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিনি বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরনের একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের।
কোনো পক্ষ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে ব্যর্থ হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না। রাজনৈতিক সহিংসতাকেও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করেন তিনি।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।
আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) ‘ইউএস-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক: ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণই চাবিকাঠি’শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে ৫টি বিষয়েও ওপর গুরুত্ব দেয় তার দেশ। প্রথমত, শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ত, এ দেশের প্রতিশ্রুত গণতন্ত্র, বহুদলীয় গণতন্ত্র, সহিষ্ণুতা, স্বচ্ছতা, সুশাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা।
তৃতীয়ত, সামাজিক ও পরিবেশগত প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সক্ষমতা। চতুর্থত, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফেরা পর্যন্ত তাদের আশ্রয় দেওয়া।
পঞ্চমত, এই চার লক্ষ্য সার্থকভাবে পরিপালন করলে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শ্রমমান উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়া। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এসব অর্জন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, দুঃখজনকভাবে মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের অনুকূলে নেই।
তবে অন্যান্য উন্নয়নসহযোগীদের মতো যুক্তরাষ্ট্রও রোহিঙ্গাদের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মিটাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহম্মেদ। এতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান প্রমুখ।
নবচেতনা /এমএআর