যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পুলিশ বাংলাদেশি একটি পরিবারের ছয় সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে। স্থানীয় সময় সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা-হত্যা বলে বর্ণনা করছে।
পুলিশ বলছে, নিহতরা অভিবাসী হয়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পরিবারের ছয় সদস্যের মধ্যে দুই জমজ ভাই ফারহান ও ফারবিন তোহিদ (১৯) তার ভাই তানভির তৌহিদ (২১) সহ অন্য তিন সদস্যকে হত্যা করেন এবং তারপর নিজেরা আত্মহত্যা করেন। অ্যালেন পুলিশ বিভাগ সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি মিডিয়া গ্রুপের টেলিভিশন কেক্সান জানিয়েছে, সোমবার ভোরে অ্যালেনের পিন বাফ ড্রাইভের ১৫০০ ব্লক থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যালান শহরের পুলিশ জানিয়েছে, ওই পরিবারের কোনো এক সদস্য আত্মহত্যা করেছেন বলে তাদের পারিবারিক এক বন্ধু পুলিশকে জানানোর পর তারা ওই বাড়িতে যান। পুলিশ আরো জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তিদের বয়স এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাদের মধ্যে দাদা, বাবা-মা ও তিন সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ডালাস মর্নিং নিউজকে পুলিশ সার্জেন্ট জন ফেলতি জানান, ‘ধারণা করা হচ্ছে- ওই পরিবারের দুই ভাই আত্মহত্যা করার ব্যাপারে একমত হন এবং এর আগে তাদের পুরো পরিবারকে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার (হত্যার) সিদ্ধান্ত নেন।’
নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে দু’জন টিনএজ বয়সী ভাই, তাদের এক বোন, তাদের বাবা-মা এবং দাদি রয়েছেন। পুলিশ বলছে, সবচেয়ে কমবয়সী নিহতের বয়স ১৯ বছর।
এই হত্যাকাণ্ড কখন ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশের ধারণা, শনিবার অথবা রোববার এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। পুলিশ কর্মকর্তা জন ফেলতি জানান, ওই পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবেশিদের ওপর কোনো হুমকি ছিল না এবং এর আগে ওই বাড়িতে কোনো ধরনের সমস্যার কথাও শোনা যায়নি।
ফেলতি আরও জানান, পরিবারটি অভিবাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল। পুলিশ ধারণা করছে, সন্তানদের তরুণ বয়সী দুজন একসাথে আত্মহত্যার করার এবং পরিবারের অন্যদেরও ‘তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার’ সিদ্ধান্ত থেকে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনা ঘটার সময় পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি, তবে তারা যে বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাওয়া তা নিশ্চিত হয়েছে।