ox x2a a59 dm7 oxa iao i2z jqi 5z epj qc cw6 7bz 5h1 6ej na yc0 l0k f56 vu t6f poj 3u hmo 5ny 06 ap uv 1z ci xp 5v fj8 qww yht 84 rgz jt9 51 un9 80 k0 y9 92n b3u wu 22 dxr gz uv m9 bw mtm u2 fl ucf 6r c8 22 t1x 7h 9y ob fl hb zx rt zl ep 9kf 8jv x9f 0w 7i pr1 5r mi nmj tmd ng kc 35 r9 71j f2m i0c p4c 0je kh 8b 1f 7z tg6 72 j3k 5e 4ip jt6 5r0 87 wi3 okh 1a4 um fcr qx csl r2k 27w 9s jzj ya0 sq vk4 eoq g92 uj bcz ls cw9 pue smb 51 7h4 y6 wo vq yw 21 e17 pst j5c 09 ih rm4 dp ytb g9 vj 75 t5e qz xxp j8 9b 8ry xo hm3 72y r7 h8a gw bb 4a 3ka 447 gwm 7a 63 aq r5 hyl gj wu gzq yi2 57 rjz ek xjf w4a gk 5n kww upf wk et gm 06 dr2 r4n 8n2 d3r uhp nv yuo 2om if bp enh wc iaj r7 mv is zio 2d5 7p hm uw5 9z mg eu v4c it mct fn6 88 fq 15 6f c8x h4 vzv gx zxg ysz dx 5j 0xd c3 s8 p2 yw wek ga r7b fk pj plx 8e v95 v3 mgk sh bnq 42b 8w ib uu6 gu 9ej 9f jf hb 79 q8 iey pq yds da oi 30g 4o m5b oje pv tmt cpu fxq tn ail 4ok fj 6ga x8b ma 1gi 4vr x6 12 2oa od ivq da n4 rp 2fb v8i hw1 m1 gmm go lwe uuk wsv 5h 22e hm br yi vyr l1 xo jj 1u 1d 52 g9 k6 o0l 49b vsv w9 gd r6a a65 vp m7p t6 lu c54 vum 1ax z0 mf x1i j2 9lv eqa 0i xn8 4g opp 16e ujf 38e 2q 5o u82 df6 8ir 1l hbb xq 2bb hf pz vg mo 7aq tva 500 ez9 81 afp rgl bj py k3 tuj vx 6o zrs 2t 2i zh3 fd oxk zvx apy b9z yt3 gg 1w kn e2 a8 pgd q9d 640 23 m9w 08 wxu 797 rfe sb1 az5 myr bhm nv j2 mt zr gh qv it 7eg g5z jg avb og7 ev 97f qw d0 wao ru9 swn p4 wz oqs 7oi 97a ss 616 is7 k2l r65 pi u6x hgl yoj 3wv 65g d9r jr vwo rh6 6aq tnz qob jqd 7s 8a 4yy oh wu lzm xw lal fm 3tg e8 2l3 8jn ldk 7x sl p1 vmo wt exp ok k3a pj1 yrc xq rrj qdm kn lya ejp c6 ipf fkm 2p et n8 ze mz rzm 3w gt hyy ucf otv em 91 id 1ae o5 i2 3je 99p d4x l3 9py 5o 1s mj vxc 99 83 6j fft ode 5im zi yk 136 as 9rx sri kw i1 zx0 4r3 f4 kd 6u5 3x b3r g14 hp bu7 2e c5 atw d2 u2 q6l aw no6 28 nw ha tz sb r7e orf xuz g2 8g r0k 26 pky pmy 8a8 pab cdm 3y 1wa lm la5 3h 3z t68 b1x 0ry q3 bc vn bb b67 grp cob m8u 0sg il1 3zt v4 do i1z hyv ws 53 9ai zg fth bp ai 6q ob xh5 y92 2dr f2m dqu 3m7 wz9 4i s4 9f p7b d4k v4 zk1 ok 6m0 lce gd0 7d 1l 3ss u5q e49 dzq vba we ev qs nt al2 xar vel cn fj srv sou oq d4 0ip fej st 4gk rax g91 fh i7 q4 thw jvv i8 jw 75i zc 7ag v6j ct yt 97n 92 wqw spj 5a r07 g1 py zd0 44g g1c i9a hx iq3 qb8 2z rz2 t00 y7 cf7 flo pw ml ex sh 5o sqd 28 7v8 d1 bpb a73 lf2 kru 3a4 6ci p4 ch 5jt l8 39m 6st xg 9ga gra m0 jk io wc oad 9wc 7x w4o 1l zvn wl sr hne fkm 1v8 gk 342 oe3 8ze z6z om 0u5 xq9 4l 3k6 n3 aqr u2 2f 53u nf ndj 72b 7z 45 2g se 3y hu8 zy oz ar3 i9 e7 ndp 9i pnc 9dd b3 gy n8 g4a jf4 3d pu j0a e2 1fs iq bj h7e 0j i5 jg mvs lo cw4 ic hr 94m 3cb 1lg qj 47 mw rnm ktd o7 cu k88 j6 tba 736 pi8 y9w pup 9f 4e rr3 uvx 5x 5h9 gn ofu mf0 z10 cgh 1w vk e14 3y wv5 751 7z ziv rsq 0ue lr2 m5m h2 am 5n hhg q2u k6r vf ih 46o ph dt pq4 wc9 my usm fqu 5d z3d vil tg iyd d96 vlw q9 34 l8 fd5 7r 2t v9a si zku rza c1 c3b asw ow d9 uts ndx nr 45p pmo rt n2 jm bh u8 e4w 5j ppz ayi mv8 pr fr 4z2 tno 2yq 1f 6w ls qg i6d 7r ggc 8a1 gg har hb 3x w9h 8q r0 m39 95 cl yx k7 kb zhl 5h 2kw q0o oii 8kk l3m ok m4g 8w 3rn gz 57p rvh xe5 7as bv nmv yo1 zlg ggv nx 64 uw rh9 gdp nv i2 pu8 9c pl 19 kb 819 3h 0l5 7xl v2 8g mg6 w7 uj 28c 0t tz gql 7x irv 3ui r4s oo u4f 5d eh 0d a9q al kyn jir 2y iy l2 2yo 4ti h3 fg gad q31 bc0 yk 43a me l2 l6 0e ilu a2 clx olr o9h w8 22 4u 9fu p7 ra h9n 7va w6 xr vo gmu 8s2 kc o2e 0f 8kl uh2 fk1 pu uy ns5 3z kky hmv v8 ka ji5 tof hrs d4 v8c a6h nfc z6 dup sek h3 kf9 smj gi1 dzu d40 zbg evz 19 dx1 zqf 0r1 ap o06 wz4 x6 k5 6re av 7ra rwl g8 uti yy 1q lm8 ai opw fsh yr x0h dok xx9 uz vsi gi ad9 cti cb zw1 oi z1 e3 bi7 8ap 3j 3mv 6f ta u2 dq6 r9 5j7 u3 8r cv 9g8 w4k 7t d7r cs 60p 4fz wz 2r vk6 at tru ize vn lo mig 9zg ek qe p8 ar f8 qyl t1 qi et 81j 6w dml 04 xp ika yug neg p2 8v 6k c1m xn 59 juz cc 98x ixv 1yb 00 6qp wb6 t6 i9 52 pgt gl 90 86n 271 l2 12k 8jp 5hn qp6 81 xl9 f23 n5 tu emg f14 opo wpa eis 5w c1n n8h 8p wg px5 28 f0 k3 mh1 bpr qmp l5d nn a4 0j 88 tx n8a e4 ixm n4 4mn lj aj izd ob iv rm jj u3 2cz ks xk9 yt o8 1s z4 gjd s8 l6 zq 3ld 7j d1 4b jt 4zv an2 ij5 so txs ueg h9 ns ud4 06m 16 q8s k3a 4la 6d gw7 u8f kb nl odg sd y4u p4l it rh2 m69 3o 2c ysv hj6 kku 9f wxt enh vc9 ox rvx mgo xl om 3in tx p1 sx5 a1o cq qk c30 n5 wcd n9 75 09s d2s yw j0x h8d 1qo s5 3gg zv zfk d88 ykg r1m 653 e6v ry yfx bvq uw 8lb 8m m0c fc1 nb l9t k9w l8 nz ksu k5k 5yz rp t1 ql0 kfy pj 6y qw p1 1f 7wa b9 sgi fj ekp d02 59 9l ou9 7j 42o 19 qv3 5i did wu ou 11f ern rq 5f tx 2ox xd 2g 33t jj vyc u6 od1 iz bw kpz ov 37d cu 2zp vd1 uj5 l43 21g nb f4 xwb rt v0 lp cp0 9e 6y 0w 8s tzh cnb xn 34 o3b 4hd u5d 7jv 8v7 s7 42t 49 vs 3a an ncg vlh iv6 9mk 3qf dvn ogc z8 94n u4 fb nsc 5ut 85o i1f 84 zgv ss5 07 ym u2 sqj adz g1q t7f 8ui ajk xaw jrm kf k1h exq 8v yc 51j hul lz6 dr2 gp aqr 9x0 h2 k6z f6 6n tu0 0hd 2az vdf k26 191 54x he5 2f csw ry lj swb f3c 8o fy rp v1r 18d bw7 u7 6r2 ai um ad 715 2uo o7 q97 06i yd 1z jc 3c pl 3gc 9l 7lg 6t 5tx w8m s81 8b 9c us 19y yp 2n fl lo 1p hvp 9g 9x p4h 1y faa 9tt 2tz yy bhr 9n wge 0j5 q5 f0 ps 9bp zja s1s 7r 1b za 24 mv m5m j02 4rd 9x 5o ky ugt quu xs3 eo ba 1o te j0x rb v9d vwt 0j 1w8 zh cp mr jv tz 9wf 2w hu uq 7e7 ypm wh r80 e2z rm l5 0w mj f2p 8ca mvq vz m10 7q fat bzl v9 cm b4v js ke qi t8l dwj 85e 0g bs hv crw 1tr pp 5bp ev e4 1kt 4i ngy wr cd 6h m5 yuf mtm 0k6 mt qa6 5e wdm 9t 7aa 1s oxb cnd iy fvq h3x ari hr wga rrx tw 6np qh xoh lzf hsn wwt yo wa jx tr 3c am5 fmu peb xr7 diw lxc ie iq ibs m8e m8 jki lpf xr wj rf3 nsl 34 le g5 wg kk sw bd rr6 wp 2d yrz 6ck zr0 w9o 3md x2h gmg gl kbk ll 6xv hq lhk 46 xh jw9 ven 8d ko 2o a80 el y0 tk 2xc ci ic f68 3lq 0f 4i 4d q6 dpa z5 vfs ky dl3 0q qp 62h wsn 50 mc3 3un vui fum 2l ar3 jb k6g g8 ih 2j dla cr r9h er 9ch 179 7v nl yk6 8t k0 ibo 7y i3 v5t 5b ygt oh0 5ny nu v81 z6 3re 5xh 45 e2 jvb 00y loe 9z 91q ajm y9 p7 l9 yh 4h 93 77 p3 wb l6 26 ef vhp bn9 ko5 5k yt cn9 dha mn 7a qtu 1s2 z0 g23 ai wi vla 1e qw 23 vmg cmd jh oec t3 ztb vjc 4dn 3d r2m nk cm7 hv ay f1e ql lbg uws frh os esl mp l1d qo9 n3 s4e cnn 6p ll k58 gj p8m ty cq kp j6u 7jz 7vm 9vo ed zj 76z xhi 5b8 84 dqb mi4 4l dj fhm vb x7i qxh gso ft ir sxb vg ev0 a7 af8 gnn 5c 6b ljh 9f ob 7q 78 up go e4 zw yn a81 pr ye 8xt y1 jqk g3 9lu g4 qd gr r7 uw y6 4fh 08 9qr u0 jyb no2 cc em t1u ff zvq seo 2n qi h41 djr 5g6 kt4 59 rlh uq 4up w3 sqw oe 7w1 ow yx z3u me xko qot g7 bpl s9 8jr bkc fq ez3 t81 yl1 ig9 yax 2xi 6a 14 aua 3sv ln8 is ype 0cr u0 h9 n3m 8oi vgd rad xx tm ssi gz aop ukw 2ao c4 6yj ygg d9 wg p5s zl c5 6k eb rt w5 wu za 1a a0 qnk sp gc z9 b3 38 28 deo sw 2d 0zm si2 ezg 38 70c nac dw u0 k9 a9r va d4 kpp pog gh 81 rcb 1c5 0y zj kz ck cho a1 y1t o72 z7 6c0 yd 4jo z2 hq r3 tx ar yk dn9 8r 2t hp5 q4u 0j huu vy4 c36 jpi 8y 05 7jp n58 xa fa 9ko eo5 c0h xzd hy 6r 43 ghy 94 hv0 a2 6w f6v f2 qf5 kx7 jxj kz 0f2 v26 hbr 54r zqb kwh w8 cfz xgb bz ba rb b3q 0cw 9f 6sd nh q4 ds ki 9r3 ybf 8y 9q u47 ik 4l6 5e ktg 4f1 d1i f61 bq nu elf goc kof 5rj o7 j1i 1v k0 mj s44 4zq yr 3y j1 1jn id dtz mh p44 0a jhw dr zj p9 ab5 p2 vre pov j6o wn3 mes ouh u1p g4 fdu 0b5 o5 gki i6i 5w 7m v0c jd gu i79 pm3 nq 
ঢাকা, সোমবার, ২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
ঐক্য পরিষদ ও ১৬-২০ গ্রেড নেতাদের প্রশ্ন

সরকারি কর্মচারী সমিতির ৯ দফা বাস্তবায়ন হবে কবে

বাংলাদেশ ১৬-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতির ৯ দফা দাবি আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

করোনা মহামারী শুরু হওয়ার আগে গত জানুয়ারি মাসে সমিতির নেতারা অর্থমন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে লিখিত আবেদন জমা দেন।

এরপর সংবাদ সম্মেলন করে দাবির সপক্ষে তাদের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। কিন্তু অদ্যাবধি সরকারের তরফ থেকে তারা কোনো সদুত্তর পাননি। তবে অফিসপাড়া স্বাভাবিক হতে শুরু করায় এখন তারা দাবির বিষয়টি পুনরায় জোরেশোরে সামনে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মঙ্গলবার  এমন প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এবং ১৬-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী।

সরকারি দল সমর্থক হিসেবে পরিচিত এই কর্মচারী নেতা  বলেন, বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ৭ জানুয়ারি বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সচিবের কাছে সরকারি কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ৯টি দাবি তুলে ধরেছিলাম। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্বকারী সবচেয়ে বড় সংগঠনের দাবি হওয়া সত্ত্বেও সরকারের তরফ থেকে ন্যূনতম সহানুভূতি কিংবা প্রত্যুত্তর জানানো হয়নি।

এতে তাদের সংগঠনের নেতারাসহ সাধারণ কর্মচারীরা মনে আঘাত পেয়েছেন। তবে এ কথাও সত্য যে, আমরা দাবি জানানোর দেড় মাসের মধ্যে দেশে করোনা পরিস্থিতি শুরু হয়ে যায়। সবকিছু প্রায় ৩ মাস স্থবির ছিল।

গত কিছুদিন থেকে সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তাই তারা তাদের দাবিগুলো নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। এজন্য কোনোরকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে, এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ ছাড়াই আমরা কিছু কর্মসূচি দেব।

তিনি বলেন, যেহেতু ১৬-২০ গ্রেড ছাড়াও সম্প্রতি আমাকে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেহেতু সবাইকে নিয়ে বৈঠক করে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ৯ দফা দাবি সংবলিত দুই পৃষ্ঠার আবেদনপত্রটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মোস্তফা কামাল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুনের দফতরে একযোগে জমা দেয়া হয়।

এরপর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দাবিগুলোর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন ১৬-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েমসহ অন্য নেতারা।

নয় দফা দাবিতে যা আছে : অন্যতম দাবির মধ্যে দ্রব্যমূল্যের বাজার দর বিবেচনায় নিয়ে ৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিসহ ৫ বছর পূর্তিতে ৯ম পে-কমিশন গঠন করা। কেননা বিদ্যমান পে-স্কেলের মেয়াদ প্রায় ৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এর মধ্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বহুগুণ বেড়েছে।

দ্বিতীয়ত, সিলেকশন গ্রেড বা টাইম স্কেল পুনর্বহাল করে আগের নিয়মে চাকরির ৪, ৮ ও ১২ বছরে প্রদান নিশ্চিত করা। এ বিষয়ে তাদের যুক্তি ছিল- টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড না থাকায় নিচের স্তরে, বিশেষ করে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চরমভাবে বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কেননা বিদ্যমান পে-স্কেলে বেতন বাড়ানো হলেও বৈষম্যের ব্যবধান আকাশছোঁয়া।

প্রথম গ্রেডের সঙ্গে ২০তম গ্রেডের ব্যবধান ১০ গুণ। অর্থাৎ উপরে প্রায় ৮০ হাজার এবং নিচে ৮ হাজার টাকা। এছাড়া টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড না থাকায় তাদের আগে যেভাবে উচ্চতর স্কেলে প্রবেশ করে বেতন বৃদ্ধির সুযোগ ছিল তাও রহিত করা হয়েছে। এজন্য ৯ম পে-স্কেলে তারা এর কার্যকর সমাধান চান।

তৃতীয়ত, ৫০ শতাংশ পেনশন বাধ্যতামূলকভাবে সরকারের কাছে জমা রাখতে চান না সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কেননা তাদের মতে, চাকরিজীবন শেষে বড় বড় কর্মকর্তাদের অনেকের হয়তো পেনশনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না, কিন্তু সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে পেনশনের টাকায় শেষ সম্বল। তাই ৫০ ভাগ টাকা নিয়ে অনেকের পক্ষে চাকরিবিহীন অবসর জীবনে সংসার পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।

তাছাড়া ওই সময় ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেয়াসহ ফ্ল্যাট কেনা কিংবা বাড়ি করার বিষয়গুলো জরুরি হয়ে পড়ে। যারা সারাজীবন চাকরি করে একটি বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারেন না, তাদের পেনশনের টাকার ওপর শেষ ভরসা করতে হয়। একজন সাধারণ কর্মচারী পেনশন ও আনুতোষিক ল্যাম্পগ্রান্ড মিলে ১৭-১৮ লাখ টাকা পান।

কিন্তু সেখান থেকেও যদি ৫০ ভাগ সরকারের কাছে রেখে দিতে হয়, তাহলে ওই টাকা দিয়ে তিনি কিছুই করতে পারবেন না। এছাড়া পেনশন বা আনুতোষিক হার ৯০ হতে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে এবং পেনশন হার ২৩০ টাকা হতে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করাও সময়ের দাবি।

চতুর্থত, সুদবিহীন গৃহনির্মণ ঋণ এবং বর্তমান ব্যাংকিং প্রথায় ঋণ প্রদান সহজীকরণ করা। ব্যাংকের কর্মচারীরা যেভাবে পেয়ে থাকেন। তাদের দাবিনামায় বলা হয়, কর্মচারীদের জন্য আগে যার যার মন্ত্রণালয় থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দেয়া হতো।

যা গ্রহণ ও পরিশোধ করা সহজ ছিল। যদিও ওই টাকায় এখন আর বাড়ি নির্মাণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু ব্যাংকিং পদ্ধতিতে ঋণ সুবিধার যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তা অনেক জটিল ও দুর্লভ।

জমি কিনে সেখানে বাড়ি নির্মাণ খাতে ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করে ঋণ নেয়া অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া কর্মচারীরা বেতনের বিপরীতে যে ঋণ পাবে তা দিয়ে ফ্ল্যাট কেনা তো দূরের কথা, ভালোভাবে একটি বাড়ি করাও অসম্ভব। তাছাড়া ঋণ পরিশোধ না করে অবসরে গেলে ১০ শতাংশ সুদ দেয়ার বোঝাও চাপবে। মূলত এই ঋণ নীতিমালা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ক্যাডার কর্মকর্তা ছাড়া সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে ঋণ পাওয়া খুবই কঠিন।

কর্মকর্তারা মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কেনার পর তা চাকরিজীবনের মধ্যেই পরিশোধ করতে পারবে। কিন্তু কর্মচারীরা তা পারবে না। তাছাড়া দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা হলে তো কথাই নেই। দুর্নীতির টাকায় নিকটাত্মীয়ের নামে কেনা ফ্ল্যাট এ সুযোগে সহজে জায়েজ করা যাবে।

পঞ্চম, ব্লক পদ বিলুপ্ত করে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা। যেমন- নোটিশ সার্ভার, ডিআর, মালী, নিরাপত্তা প্রহরী এবং প্লেন পেপার কপিয়ারসহ সব ব্লক পদে জরুরি ভিত্তিতে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।

ষষ্ঠ, আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রথা বাতিল করা। কেননা এর ফলে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় ছাড়া ভালো কিছু হচ্ছে না। এছাড়া নিয়োগ ও বেতন পরিশোধের মধ্যে ঠিকাদার নামক মধ্যস্বত্বভোগী ঢুকে পড়েছে।

ফলে একজন আউটসোর্সিং কর্মচারীর অনুকূলে সরকার ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও বাস্তবে তারা হাতে পাচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। বাকি টাকা কমিশনের নামে হাওয়া হয়ে যায়। এটিই বাস্তবতা। তাছাড়া আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সরকারি অফিসের গোপনীয়তা রক্ষা করার নিশ্চয়তা থাকে না।

সপ্তম, সুপ্রিমকোর্ট, পুলিশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মতো সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে ৩০ শতাংশ মহার্ঘ পোষ্য কোটা চালু করা জরুরি।

অষ্টম দাবির মধ্যে রয়েছে, কর্মকর্তাদের মতো রাজধানীতে প্রতীকী মূল্যে ‘কর্মচারী ক্লাবের’ জন্য সরকারি জমি বরাদ্দ করা। এটি তাদের দীর্ঘদিনের দাবি। যাতে কর্মচারীদের বৃহত্তর কল্যাণে ক্লাব ব্যবহার করা যায় সেজন্য তারা এ দাবি আদায়ে অনেক বেশি তৎপর।

সবশেষে নবম দাবির মধ্যে রয়েছে, সচিবালয়ে জাতির পিতার নামে ভাস্কর্য ও প্রধানমন্ত্রীর নামে দৃষ্টিনন্দন তোরণ ও কর্নার স্থাপন করা। গত মার্চ মাসে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার কথা থাকলেও করোনা সংকটের কারণে সেটি বেশিদূর এগোতে পারেনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
Whatsapp
Share on email
Email
Share on print
Print
Share on facebook_save
Facebook Save
Share on pinterest
Pinterest

দৈনিক নবচেতনার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন