মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে সরকারি গাড়ি অপব্যবহার থামছেই না। সরকারের কাছ থেকে বিনা সুদে ও সহজ শর্তে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনলেও বেশির ভাগ কর্মকর্তা দিব্বি ব্যবহার করছেন মন্ত্রণালয় বিভাগের রুটের মাইক্রোবাস, কিংবা উন্নয়ন প্রকল্পের দামি পাজেরো গাড়ি।
কিন্তু এটি মনিটরিং করা কিংবা দেখার যেন কেউ নেই। এ বিষয়ে কঠোর নীতিমালা থাকলেও সেটি এখন কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছে। নানা রকম অনুশাসন দিয়ে গেল ১৯ আগস্টও এক দফা সংশোধন করা হয়েছে এ সংক্রান্ত গাড়ি নগদায়ন নীতিমালা।
কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এটি সবার উদ্দেশে জারি করলেও নিজ মন্ত্রণালয়ের অনেকেই তা মানছেন না। অর্থাৎ না মেনে পার পেয়ে যান। ঋণের টাকায় গাড়ি থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি রুটের গাড়িতে চেপে বসছেন অনেকে। সিনিয়র কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে বিব্রত ও ক্ষুব্ধ।
এদিকে গত সপ্তাহে গাড়ি ভাড়া পরিশোধের একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে এখন মন্ত্রণালয় জুড়ে গৃহদাহের অবস্থা। ৯ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-৪ শাখা থেকে জারি করা চিঠিতে গাড়ি প্রাধিকারপ্রাপ্ত নন এমন কর্মকর্তাদের রুটের গাড়ি ব্যবহারে বার্ষিক ভাড়া পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে এই ভাড়া পরিশোধ করতে চান না অনেকে। হয়তো শেষ পর্যন্ত সবাইকে এটি পরিশোধ করতেও হবে।
কিন্তু দৈনিক নবচেতনার কাছে তাদের ক্ষোভের কথা হল, সরকারি ঋণের টাকায় দামি গাড়ি কিনে প্রতিমাসে যারা রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাবদ বেতনের সঙ্গে তুলে নিচ্ছেন অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা; তারা কেন তাদের রুটের গাড়িতে যাওয়া-আসা করবেন(!) আগে এটি বন্ধ করতে হবে।
নতুবা গাড়ি অপব্যবহারকারী ক্যাডার কর্মকর্তাদের ঋণের গাড়ি জব্দ করে তাদেরকেও ভাড়া পরিশোধের চিঠি দেয়া হোক। জনস্বার্থে এটি নিশ্চয় কোনো অন্যায় দাবি নয়।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি নগদায়ন ঋণ সুবিধা চালু করা হয়। প্রথমে গাড়ি প্রাধিকারপ্রাপ্ত যুগ্মসচিবদের গুরুত্বপূর্ণ এ সুবিধা দেয়া হলেও পরবর্তীতে এর সঙ্গে উপসচিবদেরও যুক্ত করা হয়। গাড়ি নগদায়ন নীতিমালার আওতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার কর্মকর্তাকে ঋণ দেয়া হয়েছে।
টাকার অংকের এ খাতে ঋণের পরিমাণ প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা। এছাড়া প্রতিমাসে এসব গাড়ির পেছনে রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা বাবদ চলে যাচ্ছে আরও প্রায় ২০ কোটি টাকা। যার সবই জনগণের ট্যাক্সের পয়সা।
গাড়ি নগদায়ন নীতিমালা প্রথম জারি করা হয় ২০১১ সালে। এরপর থেকে গত ১৯ আগস্ট পর্যন্ত কয়েক দফায় সংশোধন করা হয়েছে। তবে শুরু থেকে একটি বিষয় অপরিবর্তিত রয়েছে। সেটি হল, এই ঋণের টাকায় যেসব কর্মকর্তা গাড়ি কিনবেন তারা বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া দফতর সংস্থার অন্য কোনো গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না।
কিন্তু নিয়মিত মন্ত্রণালয় বিভাগের রুটের গাড়ি ব্যবহার করে অফিসে যাওয়া-আসা করা বিশেষ কোনো কারণের মধ্যে পড়ে না। এজন্য সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীরা শুরু থেকেই এ বিষয়টি মানতে নারাজ। তারা হয়তো প্রকাশ্যে তাদের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করতে পারেন না।
কিন্তু বাস্তবতা হল, গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ খাতে বিপুল খরচ, অপচয় ও দুর্নীতি কমাতে গাড়ি নগদায়নের মতো সরকার প্রশংসিত ও ব্যয়বহুল পদক্ষেপ নিলেও এটি শুরু থেকেই অপব্যবহার করা হচ্ছে। সেই প্রবাদের মতো ‘যার আছে যত, তার চাই ভূরি ভূরি’।
চাহিদার যেন শেষ নেই। সাধারণ কর্মকর্তারা মনে করেন, সরকারি চাকরিতে বিশেষ করে প্রশাসনে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে সরকার গত এক যুগে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য অভূতপূর্ব বেতন-ভাতা বাড়ানো ছাড়াও নানা খাতে প্রণোদনা প্যাকেজের মতো বিপুল সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল উপসচিব থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিনা সুদে ৩০ লাখ টাকা ঋণ দিয়ে গাড়ি কেনার ব্যবস্থা করা, যা একেবারে সহজ শর্তে।
উপরন্তু প্রতিমাসে গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আরও দেয়া হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা করে। এটি তো নজিরবিহীন সুবিধা। বলা যায়, মাছের তেল দিয়ে মাছ ভাজার মজা। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এখনও মন্ত্রণালয় ও দফতর সংস্থার ফ্রি গাড়ি সার্ভিসের সুবিধা ভুলতে কিংবা ছাড়তে পারছে না। স্বভাবত প্রশ্ন উঠবে, এর চেয়ে বড় সুযোগ এলে তারা কীভাবে তা ত্যাগ করবে। সঙ্গত কারণে বেতন-ভাতা বাড়িয়ে প্রশাসনে দুর্নীতি কমানোর সফলতা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও বাজেট শাখা সূত্র জানিয়েছে, সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি নগদায়ন সুবিধা দেয়ার পরও এ খাতে বরাদ্দ ব্যয় কমেনি। বরং কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ে বেড়েছে। প্রতিবেদন নিলেই এর প্রমাণ মিলবে। যদি খোদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কথা ধরা যায়, সেখানে এখনও কর্মকর্তাদের যাতায়াতের পেছনে কমবেশি ৪০টির মতো প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস ব্যবহার হচ্ছে।
এসব গাড়ির পেছনে প্রতি মাসে ৬-৭ লাখ টাকার জ্বালানি ব্যয় হয়। এখানে গাড়ি ব্যবহারে সুবিধা হল, পরিবহন পুল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় গাড়ি নিয়ে তাদের কোনো বেগ পেতে হয় না। রিকুইজিশন দিলে গাড়ি পাওয়া যায়। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতো একটি রেগুলেটরি মন্ত্রণালয়ে যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বড় বড় মন্ত্রণালয় বিভাগগুলোতে কী হচ্ছে তা সহজে অনুমান করা যায়।
সেখানে তো প্রকল্পের গাড়ি নিয়ে ছড়াছড়ি অবস্থা। যার প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা যত বেশি, তার জন্য প্রকল্পের দামি গাড়ি চাওয়ার বিষয় না, গাড়ি দেয়ার জন্য অনেকে অপেক্ষায় থাকেন। এদিকে গাড়ি প্রাধিকারপ্রাপ্ত নন এমন কর্মকর্তাদের বার্ষিক পরিবহন ভাড়া পরিশোধের বিষয়ে ৯ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি ইস্যু করায় ক্ষোভ অসন্তোষ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনেকে নবচেতনা অনলাইনকে জানিয়েছেন, আমরা যেহেতু গাড়ি প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নই সেহেতু অবশ্যই গাড়ি ভাড়া পরিশোধ করব। এটি আমরা প্রতি বছর দিয়ে আসছি। যদিও গত বছর ভাড়া নেয়া হয়নি। কিন্তু বড় প্রশ্ন হল, আমরা রাজধানীর বিভিন্ন রুট থেকে মন্ত্রণালয়ের যেসব মাইক্রোবাসযোগে অফিসে যাতায়াত করে থাকি সেখানে আমাদের সঙ্গে কেন গাড়ি প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আসা-যাওয়া করবেন। তারা তো সরকারের কাছ থেকে বিনা সুদে ৩০ লাখ ঋণ নিয়ে অনেক আগেই দামি প্রাইভেটকার কিনেছেন।
উপরন্তু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকার তাদেরকে বেতনের বাইরে গাড়িভাতা বাবদ আরও ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করছে। যখন করোনা পরিস্থিতির কারণে টানা দুই মাস অফিস এক রকম বন্ধ ছিল, তখনও তারা এ ভাতা তুলতে ভুল করেননি। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের যানবাহন খাতে খরচ কমাতে সরকার ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে উপসচিব থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়কে এ সুবিধা দিয়েছে।
বেশ কিছু শর্তে তাদেরকে সরকার সার্বক্ষণিক ব্যবহারের জন্য গাড়ি কেনার এই ঋণ দিয়েছে। ঋণ নিয়ে বহু কর্মকর্তা প্রিমিও মডেলের দামি গাড়ি কিনেছেন। কেউ আবার টাকা সাশ্রয় করতে কিনেছেন কম দামের গাড়ি। অথচ সরকারি টাকায় কেনা গাড়ি দিয়ে তারা শুধু ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে আনা-নেয়াসহ পারিবারিক কিছু ব্যবহার করছেন।
কেউ কেউ তো ড্রাইভার নিয়োগ না দিয়ে বাসায় গ্যারেজে রেখে দিয়েছেন। মাঝেমধ্যে পরিবহন পুল কিংবা প্রকল্পের গাড়ি চালক দিয়ে গাড়ি সচল রাখার চেষ্টা করেন। মূলত নতুন একটি গাড়ি ৫ বছর পর্যন্ত ড্রাইভারসহ রক্ষণাবেক্ষণ করতে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে কর্মকর্তারা নিচ্ছেন ৫০ হাজার টাকা। উপরন্তু তাদের অনেকে শুরু থেকেই মন্ত্রণালয়ের গাড়িতে আসা-যাওয়া করেন।
তারা বলেন, প্রতিটি রুটের মাইক্রোবাসে কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ জন পর্যন্ত ক্যাডার কর্মকর্তা আসা-যাওয়া করেন। এমনকি ইদানীং যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারাও রুটের মাইক্রো ব্যবহার করছেন। ফলে আমাদের ব্যবহারের জন্য মন্ত্রণালয়/বিভাগে সরকারি অর্থে মাইক্রোবাস কেনা হলেও সেটির ব্যবহার এক রকম নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন বড় কর্মকর্তারা। কেননা, এসব গাড়ি বড় স্যারদের মর্জিমতো চালাতে হয়।
এতে করে অনেক সময় দেখা যায়, অফিস সময় শেষ হওয়ার পরও আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত গাড়ি ছাড়তে দেরি হয়। কোনো কারণে তাদের কাজ শেষ না হলে অন্যদের গাড়িতে বসে থাকতে হয়। তাছাড়া ক্যাডার কর্মকর্তারা যখন গাড়িতে থাকেন তখন অন্য সাধারণ কর্মকর্তারা গাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, এটাই স্বাভাবিক।
কর্মকর্তাদের কয়েকজন বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এপিডি উইংয়ে মাঝেমধ্যে কাজ শেষ করতে সন্ধ্যা কিংবা রাতও হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে খুব বেশি প্রয়োজন মনে করলে একজন বা একাধিক কর্মকর্তা বিশেষ ব্যবস্থায় বাসায় যেতে পারেন।
সেজন্য তো পরিবহন পুল থেকে ২-৩টি প্রাইভেট কার কিংবা মাইক্রোবাস রিকুইজিশন দিয়ে আনা যেতে পারে। কিন্তু এ রকম অজুহাত দিয়ে তো সারা বছর গাড়ি অপব্যবহার ঠিক নয়। বিশেষ করে সরকারি ঋণে গাড়ি কেনার পর সেটি অফিসে আসা-যাওয়ার কাজে ব্যবহার না করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
সচিবালয়ে কর্মরত সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে নবচেতনাকে জানিয়েছেন, সরকারের উদ্দেশ্য ভালো হলেও গাড়ি নিয়ে নয়ছয় এখনও বন্ধ হয়নি। এটি নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত হওয়া উচিত। তবে যারা এর সুবিধাভোগী তাদেরকে দিয়ে তদন্ত করালে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে না।
তৃতীয় কোনো সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত হলে আসল গোমর সব ফাঁস হয়ে যাবে। তখন দেখা যাবে, অনেক নীতিবান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কতভাবে অনিয়ম করে আসছেন। যার পাওয়ার কথা ২৫ হাজার টাকা মাসিক ভাতা, তিনিও বহাল তবিয়তে তুলে নিচ্ছেন ৫০ হাজার টাকা। তবে ঢালাওভাবে সব প্রাধিকার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা সমীচীন হবে না। অবশ্যই শতভাগ সৎ ও নীতিবান কর্মকর্তাও আছেন। যারা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও গাড়ি অপব্যবহার করেন না। কিন্তু এ সংখ্যাটি খুবই কম।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, গাড়ি অপব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। অবস্থা এমন যে, অসদাচরণের মতো গুরুতর অনিয়মটি অবলীলায় করে যাচ্ছেন অনেকে। সরকারের কাছ থেকে বিনা সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনলেও কমবেশি সব মন্ত্রণালয়ে ক্যাডার কর্মকর্তারা আগের মতো দফতর সংস্থার গাড়ি ব্যবহার করছেন। প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ সুবিধা গ্রহণ করলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে বেশির ভাগ কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের গাড়িতে অফিসে আসা-যাওয়া করছেন। এ নিয়ে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে।
গত ১৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা, ২০২০ সংশোধিত আকারে জারি করা হয়। নীতিমালার নীতি ১৭ (১) এ বলা হয়েছে, ‘সুদমুক্ত ঋণ সুবিধা গ্রহণকারী কোনো কর্মকর্তা সাধারণভাবে তার দফতর হতে রিকুইজিশনের ভিত্তিতে কোনো গাড়ি সরকারি বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন না।
এছাড়া নীতিমালার এক স্থানে বলা আছে, কোনো কর্মকর্তা শিক্ষা ছুটিতে ওএসডি থাকলে তিনি সুদমুক্ত সুবিধায় কেনা গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা বাবদ পূর্বের মাসিক ৫০ হাজার টাকার পরিবর্তে ২৫ হাজার টাকা পাবেন।
নীতি ১৪ (১) বলা হয়েছে, সুদমুক্ত সুবিধা নিয়ে কোনো কর্মকর্তা গাড়ি কিনলে কর্মস্থলের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো টিএডিএ বিল দাবি করতে পারবেন না। ১৪(৩) এ বলা আছে, এই গাড়ি ভাড়া, লিজ বা অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে তা সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ বলে গণ্য হবে।