ভারতের কাছে বাংলাদেশ সব সময় অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত দেশ বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সম্প্রতি ঢাকা সফরে ভারত কভিড ভ্যাকসিন উৎপাদন করলে বাংলাদেশ পাবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। গত ১৮-১৯ আগস্ট বাংলাদেশ সফর করেছিলেন শ্রিংলা।
ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমকে ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা সব সময়ই অগ্রাধিকার দিই। ভারত এখন কভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির ভালো পর্যায়ে রয়েছে। আর এই ভ্যাকসিনটি তৈরি হয়ে গেলে বন্ধু, অংশীদার এবং প্রতিবেশী দেশগুলোই অগ্রাধিকার পাবে।’
পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে শ্রিংলা বলেন, কভিড-১৯ চলাকালীন হয়তো খুব বেশি যোগাযোগ হয়নি, তবে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের মধ্যকার দৃঢ় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে এবং তা সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মূলত এ বিষয়টির জন্যই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন।
দুদিনের ঝটিকা সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন শ্রিংলা। সেখানে ভারত ও বাংলাদেশ চিকিৎসা এবং ভ্যাকসিনসহ করোনভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতা করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। মহামারি-পরবর্তী বিশ্বে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, বৈঠকে দুই দেশের নিরাপত্তা সম্পর্কিত পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে ভ্রমণ বৃদ্ধি, সরকারি ও চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া আগ্রহের ক্ষেত্রগুলো ছিল পারস্পারিক সংযোগ বাড়ানো, কভিড-পরবর্তী অর্থনীতি পুনর্জাগরণ, চিকিৎসা, ভ্যাকসিনসহ কভিড মোকাবেলায় পারস্পরিক সহায়তা এবং সম্মিলিতভাবে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন।
এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে রেল ইঞ্জিন সরবরাহের বিষয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে। গত জুলাই মাসে ভারতীয় রেলপথ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশকে ১০টি ব্রডগেজ (বিজি) ডিজেল লোকোমোটিভ রেল ইঞ্জিন উপহার হিসেবে দিয়েছিল।