১৬ বছর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় ভয়াবহ গ্রেডেন হামলায় নিহত আইভি রহমানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এতো সুন্দর একটা মানুষের এরকম বীভৎস মৃত্যু সত্যিই সহ্য করা যায় না।’
আইভী রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে থাকতেন তিনি। মিটিংয়ে আমাদের কর্মীদের সঙ্গে বসতেন। কোনও অহমিকা ছিল না।’
২৪ আগস্ট সোমবার সকালে গণভবন থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এদিন সকালে বনানী কবরস্থানে আইভী রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে দলের শীর্ষ নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহিলা আওয়ামী লীগেরও নেতা ছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমান। ছাত্রজীবন থেকেই উনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমরা একসঙ্গে দীর্ঘ সময় রাজনীতি করেছি। হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেয়া হয়, ২৪ আগস্ট তাকে মৃত ডিক্লেয়ার করে।’
সভার শুরুতে ২১ আগস্টের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞে নিহত ২২ নেতাকর্মীর কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে ৪ জন ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী। দুজন ছিলেন অজ্ঞাতনামা। তাদের লাশও কেউ নিতে আসেনি। ধারণা করা হয়, এই অজ্ঞাতনামারাই হয়তো আক্রমণকারী ছিল, কিছু জানি না!’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু আমরা তখন আমাদের ২২ জন নেতাকর্মী হারিয়েছি এবং তখন প্রায় ৬-৭শ’ নেতাকর্মী আহত হয়। অনেকে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে পরে আবার অনেকেই আবার মারা গেছে। কারণ শরীরের ভেতরে অনেক স্প্লিন্টার সেই অবস্থায় এখনও অনেকেই ওভাবে বেঁচে আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের কথাটা আমি স্মরণ করছি। বিশেষ করে আইভী রহমানের কথা। এতো সুন্দর একটা মানুষের এ রকম বীভৎস মৃত্যু যেটা সত্যি সহ্য করা যায় না।’
এসময় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং পরিবার পরিজনদের প্রতি সহমর্কিতা জানান তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।