একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা এখন জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করতে জনগণের দাবি উঠায় বিএনপি নেতারা এখন উল্টাপাল্টা বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন।’
২৪ আগস্ট সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আওয়ামী হর্কাস লীগ আয়োজিত ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবিতে এক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতা স্থায়ী করতে খালেদা জিয়া তাঁর পুত্র তারেক রহমানের মাধ্যমে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করেছিলেন। সঠিক ইতিহাসের জন্য, সত্য উদ্ঘাটন করতে এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য একুশে আগস্টের সম্পূরক চার্জশিট দিয়ে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করতে হবে। এটা এখন জনগণের দাবি। আমি গ্রেনেড হামলা মামলার একজন সাক্ষী। সুতরাং সাক্ষী হিসেবে বলবো, এই বিচার পরিপূর্ণ করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকেও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইভি রহমানকে স্মরণ করে বলেন, ‘আইভি রহমানের সঠিক চিকিৎসা হলে তিনি হয়তো বেঁচে থাকতেন। তাকে যখন খালেদা জিয়া হাসপাতালে দেখতে যান তখন তার ছেলেমেয়েকে পাশের রুমে আটকে রাখা হয়েছিল। এমনকি ভৈরবে জানাজাও ঠিকমতো পড়তে দেয়া হয়নি।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, আওয়ামী হর্কাস লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এস এম জাকারিয়া এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শাহিন আহমেদ প্রমুখ।