২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের শান্তির সমাবেশে গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্য ছিলো পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরে যাওয়ার ২য় প্রচেষ্টা বলে জানিয়েছেন যুবলীগের নেতারা।
২৩ আগস্ট রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৫তম সাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বংশাল ও কোতোয়ালি থানার ৫ টি ওয়ার্ডে যুবলীগের উদ্যাগে মিলাদ মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।
যুবলীগের নেতারা বলেছেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পাকিস্তানের প্রেত্মারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিলো।
জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকে হত্যা করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল যড়যন্ত্রকারীরা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাকিস্তানকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।
তারা বলেন, আল্লাহ রহমতে দেশের বাহিরে থাকায় আমাদের নেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ আয়োজন শান্তির সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল, তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকার। এভাবে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে বারবার। যে কোনো যড়যন্ত্র মোকাবেলা যুবলীগ সজাগ থাকবে।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা। আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত বংশাল থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম মোস্তাফা, সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন বাদল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন,সারোয়ার হোসেন মনা।
দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ অর জামানসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতারা।