খাজা ইউনুছ ইসলাম ঈদুল,কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে বন্যা পরবর্তী সময়ে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনে শতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে দুই শতাধিক মানুষ। ঝড়-বৃষ্টিতে নিদারুন কষ্টে দিন যাপন করছে এসব মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে হাজার হাজার জিও ব্যাগ ফেলানোর উদ্বোধন গ্রহণ করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের ভাটলার পাড় এবং মোগলবাসা বাজার এলাকায় ধরলা নদীর প্রবল ভাঙ্গনে প্রায় দেড় শতাধিক বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এসব নদী ভাঙ্গা মানুষজন নিঃস্ব হয়ে পার্শ্ববতী আত্মীয় স্বজনের বাসায় ও স্কুল ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। চলমান বন্যা ও আকস্মিক বৃষ্টিপাতে বেড়েছে এসব মানুষের দুর্ভোগ। মাথা গোজার ঠাই নেয়ার জন্য দিশেহারা এসব মানুষ।
অপরদিকে, ভাঙ্গন কবলিত এলাকার স্বর্বস্ব হারানো জাবেদ আলী, ইছিম বকস, নূর হোসেন এবং হোসেন আলী কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, নদী গর্ভে আমরা সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব। সরকার যদি আমাদের দিকে একটু সুদৃষ্টি দেয় তাহলে আমরা উপকৃত হব। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গেলে এলাকাবাসী এমপি পুত্র হাফেজ আবু সুফিয়ান পাভেলকে জড়িয়ে ধরে তাদের দুঃখের কথা শোনান এবং আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এদিকে, ১৮ এপ্রিল ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদের পুত্র হাফেজ আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান পাভেল। তিনি বলেন-স্থায়ী ভাঙ্গন রোধে ইতোমধ্যে ৬’শ কোটি টাকার একটি বরাদ্দ আমরা পেয়েছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই এসব নদী ভাঙ্গা মানুষের সুব্যবস্থা করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান প্রমুখ।