গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২ হাজার ৯২৮ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। সোমবার নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান। দেশে এখন করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬৮ জন। আর মোট শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭ হাজার ৪৫৩ জন।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩২৯টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৩ হাজার ৩৬২টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬১টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৯১ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্ত হয়েছেন ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
নতুন করে মারা যাওয়া ৫০ জনের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ এবং ১৫ জন নারী। মোট শনাক্তের ক্ষেত্রে মৃত্যু হার এখন পর্যন্ত ১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
করোনাভাইরাস থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯১৪ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৬ জন। সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে বিদেশগামী বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে যারা ঢাকা মহানগরীতে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করতে চান তারা ২০ জুলাই থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকার সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটে অবস্থিত অস্থায়ী কোভিড-১৯ আইসোলেশন কেন্দ্রে নমুনা দিতে পারবেন।
সেই সাথে ঢাকার বাইরে ১৩ জেলায় সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনদের তত্ত্বাবধানে একই তারিখ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ জন্য স্থান ও সময়সূচি সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানা যাবে। যেসব জেলায় নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে সেগুলো হলো বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও সিলেট।
যাত্রীদের যাত্রার ৭২ ঘণ্টা পূর্বে নমুনা দিতে হবে। নমুনা প্রদানের সময় পাসপোর্ট ও টিকিটের ফটোকপি জমা দিতে হবে এবং মূল পাসপোর্ট ও টিকিট প্রদর্শন করতে হবে। নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে এসে নমুনা প্রদানের জন্য পরীক্ষার ফি হিসেবে প্রত্যেক যাত্রীকে সরকার নির্ধারিত ৩৫০০ টাকা জমা দিতে হবে। সংগৃহীত নমুনা সরকারি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হবে এবং যাত্রার ২৪ ঘণ্টা পূর্বে রিপোর্ট প্রদান করা হবে।