গাইবান্ধায় বন্যার পানিতে ডুবে শুক্রবার দুপুরে লিমন নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
গাইবান্ধার বানভাসী মোল্লারচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই জানান, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানিতে ডুবে আছে চারদিক। সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৬৫টি চরাঞ্চলের অধিকাংশ ঘরবাড়ি এখন পানিতে ভাসছে। কোথাও হাঁটু পানি কোথাও কোমর পানিতে তলিয়ে আছে ঘরবাড়ি।
সবকিছু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ওইসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ নৌকায় বাস করছে। বাধ্য হয়ে নৌকাতেই রান্নাসহ অন্যান্য কাজ সারছেন।
কামারজানির কুন্দেরপাড়ার চরের আব্দুল মান্নান বলেন, অনেক বন্যা দেখেছি। কিন্তু এবারের বন্যা একটু আলাদা। রাতারাতি পানি বেড়ে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। আগের বছরগুলোতে বন্যার সময় কেউ না কেউ শুকনো খাবার বা ত্রাণ বিতরণ করলেও এবার চারদিকে হায়হায় অবস্থা।
১৬ দিন হয়ে গেল দ্বিতীয় দফা বন্যায় সব ভেসে গেল। এক মুঠো চাল বা ত্রাণ কিছুই পাননি এবং দুর্গতদের খোঁজ নিতে কোনো জনপ্রতিনিধিও এলাকয় যাননি।
তবে, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী জানান, বন্যার্তদের মধ্যে নগদ টাকা ছাড়াও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।