সম্প্রতি দেশের বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের বাজারজাত করা বিভিন্ন হ্যান্ডওয়াশে বিপজ্জনক মাত্রায় রাসায়নিক উপাদান ‘প্যারাবেন’ পাওয়া গেছে, যা মানবদেহে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান প্যারাবেন ব্যবহারে ক্যানসার ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনির সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (এসডো)-এর এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ গবেষণায় সাতটি অন্যান্য দেশের পণ্যের নমুনাও বিশ্লেষণ করা হয়। কিন্তু দেখা গেছে যে, বাংলাদেশি পণ্যগুলোতেই সবচেয়ে বেশি মাত্রায় প্যারাবেন ব্যবহার করা হয়।
অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স বাংলাদেশের সভাপতি আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, “কোনো কোনো ব্যবসায়ী শুধু মুনাফা অর্জনের জন্য ক্ষতিকর পণ্য বাজারজাত করে থাকে। কিন্তু সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ভোক্তাদের স্বার্থের ব্যাপারটিও বিবেচনায় নেওয়া উচিত।”
প্যারাবেন হলো প্রিজারভেটিভের মত এক ধরনের রাসায়নিক যা সাধারণত প্রসাধনী, পারসোনাল কেয়ার প্রোডাক্ট এবং ওষুধপত্রের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। প্যারাবেন কম ব্যয়বহুল এবং সহজলভ্য হওয়ার কারণে উৎপাদনকারীরা এটি বেশি পরিমাণে ব্যবহার করে থাকেন। প্রজনন সমস্যা, ক্যানসারের ঝুঁকি, হরমোনাল ইমব্যালেন্সের জন্য অনেকেই প্যারাবেনকে দায়ী করে থাকেন। ‘এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (এসডো)-এর গবেষণাটিতে আরও বলা হয়, প্যারাবেনযুক্ত পণ্যের এই মত প্রাণঘাতী প্রভাবের কারণে বেশ কয়েকটি দেশ তাদের পণ্যগুলোতে প্যারাবেনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
দেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিং অনুযায়ী উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে রিমার্ক এলএলসি ইউএসএ অ্যাফিলিয়েটে প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি লিমিটেড। তারই ধারাবাহিকতায় রিমার্ক এইচবির হেলথ অ্যান্ড হাইজিন ব্র্যান্ড একনল বাজারে নিয়ে এসেছে সম্পূর্ণভাবে প্যারাবেনমুক্ত হ্যান্ডওয়াশ। ফোমিং ও লিকুইড, দুই ধরণের হ্যান্ডওয়াশই আছে ব্র্যান্ডটির। এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে বেরি ব্লাস্ট, ভ্যানিলা ডিলাইট, লাইম ফ্রেশ ও ফ্রুট স্প্ল্যাশ ভ্যারিয়েন্টের হ্যান্ডওয়াশ। তাই একনলের সাথে, সুস্থতায় আনন্দে, জীবাণুমুক্ত হাতেই হোক নিরাপদ জীবনের শুরু।
প্যারাবেনের ক্ষতি থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্যারাবেনমুক্ত নিরাপদ পণ্য ব্যবহার করা জরুরি। আর সেজন্য প্যারাবেনমুক্ত বিকল্প পণ্যের সহজলভ্যতার পাশাপাশি দরকার সচেতনতার। এক্ষেত্রে ভোক্তারা যেমন প্যারাবেনযুক্ত পণ্য পরিহার করবেন তেমনই ব্যবসায়ীরাও মানব স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ কাঁচামাল দিয়ে পণ্য উৎপাদন করবেন। এভাবেই সবাই মিলে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও মানবিক মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দিলে নির্মিত হবে একটি সুন্দর ও সুস্থ দেশ।