বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, তরুণ ছাত্র সমাজের দেখানো পথেই নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
‘শুধুমাত্র বন্দুকের জোরে ১৫টি বছর সবাইকে দমিয়ে রেখেছিলো স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা’- উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্খী-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শুধু স্বৈরাচারের পতন হয়নি, কাপুরুষের মতো তারা পালিয়েও গেছে। এখন, এ তরুণ প্রজন্মের দেখানো পথেই নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।’
ড. মঈন খান আজ সোমবার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ‘জুলাই-আগস্ট’ বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেওয়া, আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
গণতন্ত্রকামী মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগের দোসররা যেন এ সরকারকে কব্জা করতে না পারে। তারা যেন মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে। সেদিকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, সজাগ থাকতে হবে। মুক্তিকামী ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা প্রতিরোধ করতে হবে।’
বিএনপি’র এই নেতা বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টদের পতন হয়েছে। এটা আন্দোলনের প্রথম ধাপ। এখন বাংলাদেশের মানুষের অধিকারের আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া।
ড. মঈন খান ‘জুলাই-আগস্ট’ বিপ্লবে আহতদের বিশেষ করে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া রোগীদের ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। তিনি আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তাদের আর্থিক সহায়তা দেন।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাব’র মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আব্দুস সালাম, চক্ষু বিজ্ঞানে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী, উপ-পরিচালক ডা. সোহেল, আহতদের চিকিৎসা সমন্বয়ক ডা. জাকিয়া সুলতানা নীলা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।