চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. ইশাবুল ইসলাম ওরফে মিল্টন মোল্লাকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইশাবুল ইসলাম সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গঙ্গাদাসপুর গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুল মালেক মোল্লার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস। ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, গত ১৮ অক্টোবর হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ১২২ জনের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় মো. ইশাবুল ইসলাম ৭ নম্বর আসামি। ওসি মামুন হোসেন বলেন, মামলার পর থেকে ইশাবুল ইসলাম আগ্মগোপনে ছিলেন। বাড়িতে খুবই সীমিত সময়ের জন্য মাঝে মধ্যে আসতেন। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ মহেশপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। বর্তমানে তিনি থানা হেফাজতে আসেন। সোমবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আলী আজগর টগরসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনে ১২২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মামলা করা হয়। জীবননগর পৌরসভার রাজনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বাদী এ মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাবেক এমপি টগরের নির্দেশনায় সশস্ত্র দলবল আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা করে এলাকায় অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। এ সময় আনোয়ার হোসেন প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং তাঁর সঙ্গে থাকা তুষার নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। তিনি তুষারকে বাঁচাতে গেলে আনোয়ারের ব্যাগে থাকা ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে আনোয়ারের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন এমপির লোকজন।