বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে অর্থের যোগানদাতা ও রাজধানীর বংশাল এলাকায় আন্দোলনরত একজন নিরীহ ছাত্র হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) র্যাব -১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ৫ আগস্ট রাজধানীর বংশাল থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা শান্তিপূর্ণভাবে কোটা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করার সময় বেশকিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, চাপাতি এবং লাঠিসহ বিভিন্ন প্রকার অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলোপাতাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায়। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রছাত্রীসহ একাধিক আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ও গুজব রটায় এবং তাদেরকে গুম ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার বাদামতলী ও বংশাল এলাকায় ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের অর্থের যোগানদাতা ও একজন নিরীহ ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে ভুক্তভোগীদের পরিবার বংশাল থানায় বাদামতলী ফল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের প্রধান সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ চেয়ারম্যানসহ শতাধিক আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়। মামলা বিষয় জানতে পেরে সিরাজসহ অন্যান্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনে আক্রমণকারীদের অর্থের যোগানদাতা এবং বংশাল এলাকায় আন্দোলনরত একজন নিরীহ ছাত্রকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিরাজসহ অন্যান্য আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়।
তাপস কর্মকার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বংশাল থানাধীন সিদ্দিক মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিরাজ চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ওই ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এছাড়া রাজধানীর বংশাল ও সাতক্ষীরা সদর থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।