ফরিদপুরে আওয়ামীলীগ মদদপুষ্ট ও বিএনপির একাংশকে দিয়ে টিসিবির তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ তুলে ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক (উপসচিব) চৌধুরী রওশন ইসলামের উপর ক্ষোভ ঝাড়লেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপি নেতারা। গত বুধবার বিকালে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এফ এম কাইয়ুম জঙ্গী ও সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজের নেতৃত্বে পৌরসভার ২৭টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ ওয়ার্ড কমিটির নেতাকর্মীরা ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জানান। এসময় তারা দাবী করেন, পৌরসভায় আওয়ামীলীগের সময়ে নিয়োগ দেয়া আওয়ামী মতাদর্শের ব্যাক্তিদের দিয়ে বিএনপির একটি অংশের মাধ্যমে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, যে তালিকায় বিএনপির প্রকৃত অস্বচ্ছল কর্মী বা সমর্থকদের থাকার সম্ভাবনা নেই। তারা সঠিকভাবে নতুন করে তালিকা প্রণয়নের দাবী জানান, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত রাখারও দাবী জানান তারা। যদিও ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক (উপসচিব) চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত কোনো তালিকা প্রস্তুতের কোনো দ্বায়িত্ব কাউকে দেয়া হয়নি। কেউ তালিকা করলে নিজ দ্বায়িত্বে করেছে। এসময় তিনি বলেন, কেউ চক্রান্তমূলক ভাবে এগুলো করে থাকতে পারে। তিনি আরো জানান, নিতিমালার বাইরে কোন কাজ করার সুযোগ নেই। সরকার আমাকে নিতিমালার বাইরে কোন কাজ করতে বলেনি। তবে প্রশাসনের চাহিদানুযায়ী ভালো কোন কাজে স্থানীয় কাউকে দরকার পড়লে, তখন তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর পৌরসভার ২৭টি ওয়ার্ডে ইতিপূর্বে প্রায় ৯ হাজারের মতো উপকারভোগীদের তালিকা করা হয়। প্রত্যেক কার্ডধারী এর আওতায় ৭০ টাকা দরে এক কেজি চিনি, ৬০ টাকা দরে মসুর ডাল ও একশো টাকা দরে এক লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন।