বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং বি-৭৭ মেয়াদ শেষ হওয়ার দু’বছরের অধিক সময় পার হলেও অনুষ্ঠিত হয়নি নির্বাচন। মৌলভীবাজার,হবিগঞ্জ,সিলেট,রাঙ্গামাটি,চট্টগ্রাম জেলা নিয়ে চা শ্রমিক ইউনিয়ন গঠিত।পাঁচ জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ।সর্বশেষ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২১ সালে বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা বলে দাবী চা শ্রমিকদের। সোমবার সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় চা শ্রমিক ও পঞ্চায়েত কমিটির ব্যানারে নির্বাচনের দাবীতে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর শ্রীমঙ্গলে পথসভা ও স্মারকলিপি প্রদান করেন।প্রায় দুই শতাধিক চা শ্রমিকের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে রাজপথ। পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বালিশিরা ভ্যালীর সভাপতি বিজয় হাজারা। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হলেও এখনো নির্বাচনের আয়োজন করেনি নির্বাচন কমিশন।যার ফলে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ চা শ্রমিকেরা।শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে সবিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন বি-৭৭। বেতন ভাতা,কর্মঘন্টা,ছুটি ও মজুরি সহ চা শ্রমিক ও মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে দরকষাকষি করে থাকে এই শ্রমিক ইউনিয়ন।দীর্ঘদিন চা শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় ওদের অধিকার আদায়ে সক্ষম হচ্ছে না।তাছাড়া চায়ের মূল্য বাজারে কম থাকায় অজুহাত দেখিয়ে চা শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন এই শ্রমিক নেতা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন বি -৭৭ এর নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জোর দাবী জানান। স্মারকলিপি গ্রহণের পর উপস্থিত চা শ্রমিকদের আশ্বাস প্রধান করে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ পরিচালক নাহিদুল ইসলাম বলেন,বিগত সরকারের আমলে অর্থ মন্ত্রণালয় আদেশ করেন যে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনী ব্যয় সরকার বহণ করবেনা।চা শ্রমিক ইউনিয়ন তাদের নির্বাচনী ব্যয় নিজস্ব অর্থ দিয়েই নির্বাচন করার নির্দেশ দেন।যার ফলে নির্ধারিত সময়ে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।২০১৮ সালের বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা।নির্বাচন আয়োজনে পর্যাপ্ত অর্থের যোগান না থাকায় দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়েছে।অর্থ মন্ত্রনালয় থেকে এমন নির্দেশ এবং পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালে চা শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন চা শ্রমিক ইউনিয়ন বি-৭৭।নির্বাচনী ব্যয়ের ২৫ লক্ষ টাকা নির্বাচন কমিশন এর কাছে জমা রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।উপস্থিত চা শ্রমিকদের বলেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে অর্থের ব্যবস্থার বিষয়টি আলোচনা করে ৩ মাসের মধ্যেই নির্বাচনের আয়োজন করার আশ্বাস প্রধান করেন এই কর্মকর্তা।