নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহে কাঞ্চন নাহার (৩৪) নামে এক নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মোতালেব মিয়া (৩৮) কে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার (২ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১০ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি আলামিননগর এলাকায় আফতাব উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। আটককৃত মোতালিব মিয়া গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার রামজীবন গ্রামের মায়েস উদ্দিনের ছেলে। নিহত কাঞ্চন নাহার একই জেলার মৃত আবুল কালামের মেয়ে। তারা দুজনই আদমজী ইপিজেডে চাকরি করতেন। বর্তমানে মিজমিজি আলামিন নগর এলাকায় আফতাব উদ্দিনের বাসায় ভাড়ায় বসবাস করছিলেন। আটককৃত মোতালিবকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিবির জানান, শনিবার রাত আনুমানিক ১০টায় স্ত্রী কাঞ্চন নাহার মোবাইলে কথা বলছিলেন। এসময় তার স্বামী মোতালেব কার সঙ্গে কথা বলছে জিজ্ঞেস করলে কাঞ্চন মোবাইলের সংযোগ কেটে দিয়ে ডায়েল লিস্টের সব নম্বর মুছে ফেলেন। এতে করে মোতালেবের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলে। একপর্যায়ে গভীর রাতে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মোতালিবের অভিযোগ, হাতাহাতির সময় তার অণ্ডকোষে আঘাত করে কাঞ্চন। তখন সে রাগের বশবর্তী হয়ে স্ত্রীর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে করে হত্যা করে। পরে অ্যাম্বুলেন্সে স্ত্রীকে হাসপাতালে নিতে চাইলে বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয়। তখন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঞ্চনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ (ভিক্টরিয়া) জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান উপ-পরিদর্শক নিবির। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-মামুন জানান, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী মোতালেবকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।