এলজিআরডি ও ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় জনস্বার্থে তাৎক্ষণিক প্রয়োজন এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম নিয়ে প্রায়ই অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায় এবং ভূমি মালিকগণ
ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার হন। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে করে কেউ ন্যায্যতা থেকে বঞ্চিত বা মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ না পান।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির ১৪৪তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গত ১৪৩তম সভার কার্যবিবরণী কোন সংশোধনীর প্রস্তাব ছাড়া পাশ করা হয়। এছাড়া সভায় এলজিইডি’র অধীনে ঢাকা জেলার ২৭ মৌজায় সড়ক নির্মাণে ২.৫৭ একর, মেট্রোরেল স্টেশনে যাত্রীদের জন্য ফুটপাত নির্মাণে তেজগাঁও এলাকায় ০.৩১১৫১ একর, ঢাকা-বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে ১.১৪০২ একর ও গাজীপুর সদর উপজেলায় ৫.০৮৩৬ একর, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির স্টেশন নির্মাণ প্রকল্পে ১.১৩২৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রস্তাবসমূহ পাশ করা হয়। তবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন এসেট প্রকল্পের অধীন গাজীপুর জেলার সদর উপজেলায় কাউলতিয়া মৌজায় মোট ১৪.৪৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রস্তাবটি আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ভূমি উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের অধীন সেতু নির্মাণের সময় উচ্চতা সঠিকভাবে নির্ধারণ না হওয়ায় বর্ষায় পানির গভীরতা বেড়ে গেলে নৌযান চলাচল বিঘিœত হয়। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এ জন্য সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ, শিল্পায়ন ও বসতবাড়ি নির্মাণে দেশের কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে। এ জন্য নির্মাণ কাজে নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করে ভূমির সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি প্রকল্প গ্রহণে জলাশয় ভরাট না করা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন।