পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠেয় কপ-২৯ আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন প্রতিশ্রুতি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বয়ে আনবে।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ উপদেষ্টা আন্তোনিও গুতেরেস ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল সেলউইন হার্টের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে এক বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব এ কথা বলেন।
সচিব জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশের চলমান নেতৃত্বের ওপর জোর দেন এবং মানব চলাচলের এর প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম হিসাবে বর্ণনা করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা করতে জলবায়ু অর্থায়ন জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা আশাবাদী যে কপ-২৯ কাক্সিক্ষত ফল দেবে।
আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
কপ-২৯-এর পক্ষগুলোর সম্মেলনের ২৯ তম আসরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বিশ্ব নেতারা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন।
১৯৭টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৯৮টি পক্ষ নিয়ে কপ জলবায়ু সম্পর্কিত নীতি বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ফোরাম।
নভেম্বর ২০২৪-এর এই সম্মেলনে জলবায়ু অভিযোজন, প্রশমন, লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য অর্থায়নসহ বিভিন্ন জটিল বিষয়গুলোকে মোকাবেলা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে যা বাংলাদেশের মতো দুর্বল দেশগুলোর জন্য সর্বাধিক উদ্বেগের বিষয়।