আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবনে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে এ আশা প্রকাশ করেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন।
এ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, অন্যান্য প্রসিকিউটরগণ এবং এ সংস্কার কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনাল ভবনের বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে নির্মমভাবে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শাসক গোষ্ঠী নির্মমভাবে ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচার গুলি চালায়। সে সময় কমপক্ষে দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। হাজার হাজার মানুষের অঙ্গহানি, গুরুতর আহত ও চিরতরের জন্য বিকলাঙ্গ হয়ে গিয়েছে। আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ কেন, এ উপমহাদেশের ইতিহাসে শান্তিকালীন সময়ে এত বড় গণহত্যার নজির কোথাও নাই। পৃথিবীর ইতিহাসেও এরূপ ঘটনা বিরল।
আসিফ নজরুল বলেন, এত বড় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যেখানে হবে সেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংস্কার কাজ আজ আমরা দ্বিতীয় বারের মতো পরিদর্শন করলাম। সংস্কার কাজ সুন্দর ও সঠিকভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে গণপূর্ত উপদেষ্টা সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামও মেরামত ও সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে তদারকি করছেন। আমরা কাজের অগ্রগতি দেখতে আবারো এখানে আসবো।
সাংবাদিক ও সম্পাদকদেরও জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় আসামি করা হচ্ছে এ প্রশ্নে আইন উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বিচার কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে। অবশ্যই সেটা হবে সুবিচার।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রেওয়াজ অনুযায়ী নবনিযুক্ত বিচারপতিদের আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে বরণ করে নেয়া হয়। কাল আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও অপর দুই সদস্যের বরণ অনুষ্ঠান হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনের সংস্কার কাজের পূর্বে বর্তমান অস্থায়ী কক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।