উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৭ কোটি। এখন জনসংখ্যা বেড়েছে কিন্তু আবাদযোগ্য ভূমি বাড়েনি। এই জমিতে দেশের সতের কোটিরও বেশি লোকের খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে এই কৃষিখাত। এ খাতের যথাযথ মূল্যায়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি বন্যা কবলিত এলাকায় কৃষকদের মাঝে বীজ, চারা এবং নগদ অর্থ পাঠানো হয়েছে। যে সব জায়গায় ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সেখানে অন্য জায়গা থেকে আমনের চারা উৎপাদন করে দেওয়া হয়েছে। ২২ তারিখের পর আমন ধান আর বপন করা যাবে না । সেসব জাগায় সরিষাসহ অন্যান্য ফসল কীভাবে চাষাবাদ করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
এবার বন্যায় একটা সমস্যা হয়েছে। বন্যায় সবই অপকারিতা কিন্তু এটার উপকার, পলি মাটি আনে। এই বার বন্যায় পলির সাথে বালু এসেছে। পলির সাথে বালু আসায় বাদাম চাষ করা যাবে।
বাজার সিন্ডিকেটের বিষয়ে এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার মনে হয় খুব শিগগিরই বাজার একটি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। যদি কোনো সিন্ডিকেট থাকে সেটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভেঙে দেবে।
আসন্ন দুর্গা পূজা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজা নিয়ে কোন শঙ্কা নেই। এবারের পূজা খুব ভালোভাবে হবে। কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। এজন্য আপনাদেরও সহযোগিতা চাই। প্রতিবারতো পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকে, এবার বাড়তি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও এয়ারফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান,
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকড. মো. আব্দুল্লাহ ইউছুব আকন্দ, জেলা প্রাশাসক নাফিসা আরিফীন, পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সফরকালে উপদেষ্টা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমী (নাটা), বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী(এসসিএ) পরিদর্শন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন।