বগুড়ায় পুত্রবধূকে নির্যাতনের সময় বাধা দেন বাবা। ক্ষিপ্ত হয়ে বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে মাথা বিচ্ছিন্ন ও থেঁতলে খুন করে বেপরোয়া পুত্র। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। বাবার খুনে জড়িত জুয়েল হোসেনকে (৩৫) আটকের পর সে দায় স্বীকার করেছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার আলতাব-নগর কোইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত কফিজ উদ্দিন (৬৫) কোইল এলাকার মৃত তছিম উদ্দিনের ছেলে। খুনের ঘটনায় জড়িত জুয়েল হোসেন নিহত কফিজ উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় ও পরিবার সুত্র জানায়, আটক জুয়েল ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে গিয়ে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধে স্ত্রীকে মারধর করতো। ঘটনার রাতে স্ত্রীকে নির্যাতনের সময় ছেলে জুয়েলকে বকাঝকা করে বাবা কফিল উদ্দিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবার মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করে জুয়েল। গুরুতর অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক কফিল উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করে। দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খুনি জুয়েলকে আটক এবং লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। হত্যার সঙ্গে জড়িত জুয়েল প্রাথমিকভাবে দায় স্বীকার করেছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।