র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্বাধীন এলাকায় বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব-১৫ এর গোয়েন্দা তৎপরতা ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের দৌরাত্ম পরিলক্ষিত হয়। র্যাব ফোর্সেস এর গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে জানা যায় যে, কতিপয় রোহিঙ্গা নাগরিক এ সকল দেশীয় অস্ত্র বিভিন্ন মাধ্যমে কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন সন্ত্রাসীগোষ্ঠিসহ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের নিকট সরবরাহ করে থাকে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এরূপ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী চলমান থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার কক্সবাজার সদর থানাধীন ঝিলংজা ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ড লাহারপাড়া এলাকাস্থ উত্তরণ গৃহায়ন সমবায় সমিতি লিঃ এর সামনে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর অস্থায়ীভাবে চেকপোষ্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১৫। অভিযান পরিচালনাকালে অনুমান ২৩.৩০ ঘটিকার সময় কলাতলী-কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল অভিমুখী একটি সিএনজি (যার নং-কক্সবাজার-থ-১১-৪৯১১) থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সিএনজির পিছনে থাকা এক ব্যক্তির আচরণবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় র্যাবের আভিযানিক দল তাৎক্ষনিক তাকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে ০১টি দেশীয় তৈরি এলজি এবং ০২ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিস্তারিত পরিচয়-মোঃ বেলাল হোসেন প্রকাশ বেলাল (২৪) (রোহিঙ্গা), পিতা-রশিদ আহাম্মদ, মাতা-মৃত মরিয়ম খাতুন, সাং-বালুখালী, রোহিঙ্গা ক্যাম্প নং-০৮ই, ব্লক-বি/৫৩, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত পাশ্ববর্তী দেশের নাগরিক এবং সে নিজেকে অস্ত্র ব্যবসায়ী বলে স্বীকার করে। আরো জানা যায় যে, সে দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিভিন্ন মাধ্যমে মহেশখালী হতে সংগ্রহ করে অত্যন্ত কৌশলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যায়। অতঃপর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিরাজমান বিভিন্ন দুষ্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা সদস্যদের নিকট বিক্রয় করে থাকে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত বেলাল স্থানীয় ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বিশেষ করে অপহরণ, ডাকাতি এবং জলদস্যুতার সাথে জড়িত বিভিন্ন অপরাধীদের চাহিদাক্রমে অস্ত্র সরবরাহ করতো বলেও জানা যায়। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে।