মুকসুদপুরে বাঁশের বেড়া দিয়ে একটি নিরীহ পরিবারের সদস্যদের গৃহবন্দী করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মুকসুদপুর উপজেলার ৯ নং বাটিকামারী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাতঘর বাহাড়া গ্ৰামে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বার (৫ সেপ্টেম্বর) বাহাড়া গ্ৰামের জালিয়াত পরিবারের সদস্য ভাবশালী ও লাঠিয়াল আবুল বশার মুন্সী, আরিফুজ্জামান মুন্সী, হাসমত মুন্সী, বাকী বিল্লাহ, আবুল খায়ের, শাহাজাহান ও মাসুদ মুন্সী একই এলাকার নিরীহ প্রবাসী মোশাররফ হোসেনের পরিবারের সদস্যদের ভিটাবাড়ি থেকে বিতাড়িত করে জায়গা দখল করার উদ্দেশ্যে বাড়ির চারপাশে বাঁশের বেড়া দেয়। এসময় ভুক্তভোগী পরিবারের নারী সদস্যরা বাঁধা দিলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে হুমকি ধামকি দেয়। পরে বাধ্য হয়ে পরিবারটি আবুল বাশার ও বাকী বিল্লাহসহ মোট ৭ জনকে অভিযুক্ত করে মুকসুদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বাঁশের বেড়া ভেঙ্গে দিয়ে পরিবারটিকে মুক্ত করেন। মুকসুদপুর থানার এএসআই সুজন সাংবাদিকদের জানান, বাহাড়া গ্ৰামের আরিফুজ্জামান মুন্সী, হাসমত মুন্সী, বাকী বিল্লাহ, আবুল খায়ের, শাহাজাহান ও মাসুদ মুন্সী বিরুদ্ধে বাঁশের বেড়া দিয়ে একটি প্রবাসী পরিবারের সদস্যদের চলাফেরায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং তাৎক্ষণিক ভাবে বাঁশের বেড়া ভেঙ্গে দিয়ে পরিবারটিকে মুক্ত করি। এটি একটি জমি জায়গা বিষয়ক কলহ। আমরা উভয় পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলেছি। আগামী সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) উভয় পক্ষকে মিমাংসার জন্য থানায় ডেকেছি।
অভিযুক্ত আবুল বাশার, আরিফুজ্জামান ও বাকী বিল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি আমাদের ক্রয় কৃত সম্পত্তি, আমরা রক্ষনাবেক্ষনের জন্য বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়েছি, এতে কেউ আটকা পড়লে আমাদের কিছু করার নেই। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ওই ভূমির স্বপক্ষে তাৎক্ষণিক কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
অপরদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রেজাউল মুন্সী, রওশনারা ও রেজাউল ইসলাম জানান, প্রভাবশালী ও লাঠিয়াল আরিফুজ্জামান মুন্সী, হাসমত মুন্সী, বাকী বিল্লাহ, আবুল খায়ের, শাহাজাহান ও মাসুদ মুন্সীর পূর্ব পুরুষ আব্দুর রউফ মুন্সী একটি জাল সোলে নামা তৈরি করে। বর্তমানে ওই জাল সোলে নামার সূত্র ধরে আমাদের ক্রয়কৃত ও ভোগ দখলীয় ভিটাবাড়ি জবরদখলের চেষ্টা করছে। এবিষয়ে গোপালগঞ্জ আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে যার নম্বর-১৭০/২৩।
এবিষয়ে মুকসুদপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার এম ইমাম রাজী টুলু বলেন, যে কোন নাগরিকের স্বাধীন চলাফেরায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি আমি খোঁজ নিচ্ছি, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।