কেএমপির আওতাধীন খুলনা সোনাডাঙ্গা মডেল থানার চৌকস বাহিনীর অভিযানে সন্ত্রাসী শরিফুল ইসলাম সোহাগ (৩৩) কে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১টি রিভালবার ৭ রাউন্ড গুলি, ১২ বোর এর ২টি ভারী কার্তুজ, ১টি পিস্তল, ৪টি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ২টি ওয়ান শুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। উক্ত সন্ত্রাসী শরিফুল ইসলাম সোহাগ সোনাডাঙ্গা মডেল থানার বিকে রায় বাইলেনের রোডের বাসিন্দা মোঃ শহিদুল ইসলাম সাগরের পুত্র। উক্ত সন্ত্রাসীকে বিভিন্ন অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেফতারের পর কেএমপির সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় প্রাঙ্গনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকর্মীদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বিপিএম (বার) পিপিএম – সেবা তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সবসময় অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সর্বদা তৎপর রয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এ সময় আরোও বলেন আমি কেএমপির কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর থেকে অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী গ্রেফতার, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার ও তাদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার, জঙ্গি নাশকতা কারিদের গ্রেফতার এবং আলামত উদ্ধার, বিভিন্ন মামলার আসামি গ্রেফতার, পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি। এ সমস্ত তৎপরতার বিষয় আপনারা গণমাধ্যম কর্মীরা অবহিত রয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় গত পহেলা আগস্ট থেকে ইতিমধ্যেই আমরা ৪ টি বিদেশী পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলি, বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, ১৬টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এবং অনেক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর পাশাপাশি নাশকতাকারী এবং বিভিন্ন মামলার সাজা প্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতার করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার রাতে কেএমপির ডিসি ক্রাইম দক্ষিণের মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমতাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ডালমিল মোড় সংলগ্ন বিকে রায় রোড বাইলেন এর সন্ত্রাসীর নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতারকৃত আসামী শরিফুল ইসলাম সোহাগ (৩৩), পিতা-মোঃ শহিদুল ইসলাম সাগর, মাতা-হামিদা বেগম, সাং-২৫/৩, বি কে রায় রোড বাইলেন, সোনাডাঙ্গা মডেল থানা, খুলনা মহানগরীর বসতবাড়ির পূর্ব পাশের রুমের খাটের নিচ হতে আসামীর নিজ হাতে ১টি রিভালবার ৭ রাউন্ড গুলি, ১২ বোর এর ২টি ভারী কার্তুজ অভিযানে বের করে দেয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীর দেওয়া তথ্য ও স্বীকারোক্তি মোতাবেক গভীর রাতে আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন বিকে রায় রোড, শেখপাড়া, হক নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিপরীতে অবস্থিত গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শরিফুল ইসলাম সোহাগ(৩৩) এর মাকের্টের পূর্ব পাশের গোডাউন ঘরের ফাইল কেবিনেট হতে আসামীর নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে ১টি পিস্তল, ৪টি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ২টি ওয়ান শুটারগান এবং এসএলআর এর ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ কর্তৃকঅবৈধ অস্ত্রধারী শরিফুল ইসলাম সোহাগ (৩৩) কে গ্রেফতারের মাধ্যমে আমরা এই মহানগরীর একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেফতারকৃত অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শরিফুল ইসলাম সোহাগ (৩৩) এর জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলায়। তিনি তার পরিবারের সাথে ছোটবেলা থেকে খুলনায় বসবাস করে আসছেন। খুলনার শেখপাড়ায় তার নিজের এলপিজি গ্যাসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মূলত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে তিনি দীর্ষদিন যাবত অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করে আসছিলেন। গ্রেফতারকৃত আসামী অস্ত্র কোথা থেকে এনেছে এবং এর সাথে জড়িতদের গডফাদারদের রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে অস্ত্র ব্যবসার মূল উৎস উদঘাটন এবং কোথায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিলো এবং তার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সে সংক্রান্তে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী আসামী শরিফুল ইসলাম সোহাগ (৩৩) এর বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। উক্ত অস্ত্র অভিযানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম, পিপিএম-সেবা ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এ,জেড,এম তৈমুর রহমান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (স্টাফ অফিসার) ইমদাদুল হক এবং অফিসার ইনচার্জ, সোনাডাঙ্গা মডেল থানার মোঃ মমতাজুল হকসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মী এবং বিপুল পুলিশ অফিসারবৃন্দ ও ফোর্স কর্মীরা এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।