ভোলার চরফ্যাশনের এওয়াজপুর ইউনিয়নে এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে বেল্লাল হোসেন নামে এক স্কুল শিক্ষককে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে ১ লক্ষ টাকার রফাদফায় মুক্তি মিলে ওই স্কুল শিক্ষকের। স্কুল শিক্ষক বেল্লাল হোসেন এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই নারীর প্রতিবেশী এবং উত্তর চর মানিকা মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলে জানাগেছে। এঘটনায় ওই গ্রাম জুড়ে তোলপাড় চলছে। গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে শিক্ষক বেল্লাল হোসেনকে আটক করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। পরে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা ১ লক্ষ টাকার রফাদফায় তাকে মুক্তি দেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, এক লক্ষ টাকায় রফদফায় ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন শিক্ষক বেল্লাল হোসেন বাকী ৬০ হাজার টাকা আজ দেয়ার কথা রয়েছে। স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানান, নারীর স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে প্রতিবেশী স্কুল শিক্ষকের সাথে ওই নারী পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তুলে। প্রায় সময়ই ওই বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন স্কুল শিক্ষক বেল্লাল হোসেন। স্থানীয় শফি উল্লাহ জানান, রাতের আঁধারে স্কুল শিক্ষক বেল্লাল হোসেন প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে যাওয়ার দৃশ্য তাদের সামনে এলে তিনি এবং আরও কয়েকজন যুবক নিয়ে তিনি ওই ঘরের পাশে অবস্থান নিয়ে পরে তারা হাতেনাতে তাদের আটক করেন। ঘটনার পরপরই ওই প্রবাসীর স্ত্রী ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক বেল্লাল হোসেন জানান, সন্ধ্যার পরে তিনি পাওনা টাকা দিতে ওই নারীর ঘরে যান। পরে স্থানীয় শফিউল্লাহসহ কয়েকজন যুবক নারীর সাথে তার পরকীয়ার অভিযোগ তুলে তাকে আটক করেন। শফিউল্লাহর সাথে তার পূর্ব শত্রুতার কারণে সামাজিক ভাবে তার মানক্ষুন্ন করার জন্যই তাকে ওই ঘরে আটক করেছেন বলে তার দাবী। শশীভূশষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.এনামুল হক জানান, ঘটনাটি জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।