২৩ শে জানুয়ারি রবিবার সরেজমিনে বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী বাজার সংলগ্ন গুয়াডহরী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, হাজার খানেক মরা মুরগির পাশে বসে বিলাপ করছেন খামারী মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আঃ মান্নান খলিফা।
তিনি জানান, দীর্ঘ এক যুগ ধরে আমি মুরগি পালন করে আসছি, কখনো এমন ক্ষতির সম্মুখীন হইনি। গত ১৭ ই জানুয়ারি সকালে ফার্মে ঢুকে শ’খানেক মুরগি মরা অবস্থায় দেখে ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বাচ্চা ও ফিড সরবারহকারী প্রতিষ্ঠান “মেসার্স ইশরাত এন্ড নুশরাত ট্রেডার্সের মালিক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক(বাবু) সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার কাছে যেতে বলেন।
অতঃপর প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ নাবিল ফারাবির প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগের পর মৃত্যুর হার আরো বেড়ে যায়। চিকিৎসা গ্রহণ করে সামান্যতম কোন ফল লাভ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন খামারী ও স্থানীয়রা । তাদের মতে, “সরকারি প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ গ্রহণ করে যদি কোন ফল না হয় তাহলে আমরা যাবো কোথায়”।
এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা নাবিল ফারাবি জানান, আসলে ভাইরাসের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা হয় না, তবু আমি রানিক্ষেত ও গামবোরো রোগের চিকিৎসা দিয়েছি।
এখন আমাদের তদন্ত করে দেখতে কি কারণে মুরগি মারা গেছে, তবে শীতকালে মুরগি পালনে অবশ্যই খামারীদের সতর্ক হতে হবে এক্ষেত্রে লিটার শুষ্ক রাখা, খামারে প্রচুর পরিমাণে আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা এবং খাদ্য সংরক্ষন ও সরবরাহে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।