রাত পোহালেই উদ্বোধন হবে বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেল। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন।
উদ্বোধনের পর মেট্রোরেল আপাতত উত্তরা থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত চলবে।
এদিকে মেট্রোরেলের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে নানান প্রস্তুতি। এরই অংশ হিসেবে সন্ধ্যার পর পরই রোকেয়া সরণির দুই ধারের অস্থায়ী দোকানগুলো তুলে দেওয়া হয়েছে। ফুটপাতে নেই ছিন্নমূল মানুষের দেখা। পুরো রোকেয়া সরণি যেন মেট্রোরেল উদ্বোধনের অপেক্ষায়। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়।
মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের আশপাশের এলাকার ফুটপাথ, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ফুটপাথ, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে ব্যাপক ব্যস্ততা দেখা যায়। শুধুমাত্র রাত ৯টা-১০টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত দোকানগুলো বন্ধ থাকে। তবে বুধবার মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে থেকে দোকানগুলো সরে গেছে।
কথা হয় কাজীপাড়ার বাসস্ট্যান্ডের দোকানদার রমিজ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, কাল মেট্রোর উদ্বোধন। শুনলাম প্রধানমন্ত্রী প্রথম দিন মেট্রোতে চড়ে উদ্বোধন করবেন। এজন্য আগামীকাল রোডের ধারে থাকা যাবে না। এজন্য আগে থেকে সরে এসেছি। গলিতে আপাতত গুছিয়ে রাখছি। উদ্বোধন হয়ে গেলে আবার দোকান নিয়ে সড়কে চলে যাবো।
মিরপুরের-১০ নম্বরে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সামনের ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাহেলা খাতুন। দোকান সরিয়ে রাখতে একটু কষ্টই হচ্ছিল। তারপরও চোখে-মুখে বিরক্তির বিন্দুমাত্র ছাপ নেই। বরং মনে অনেক আনন্দ। কারণ মেট্রোরেল উদ্বোধন হবে। তার দোকানের সামনে দিয়ে চলে মেট্রোরেল।
তিনি বলেন, মেট্রোরে উদ্বোধন। এজন্য দোকান সরিয়ে রাখছি। মাঝে মাঝে বেশি দিনের ছুটিতে থাকলেও দোকান এভাবে বন্ধ করে রাখা হয়।
এভাবে সরিয়ে রাখতে কষ্ট হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে রাহেলা বলেন, কষ্ট হলে হোক। রেলটা চালু হোক। এরপর রোজ মাথার ওপর দিয়ে মেট্রো যাবে, তখন ভাল লাগবে!
বুধবার উদ্বোধন শেষে যাত্রীদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত মিরপুর ১০ নম্বর, কাজীপাড়া, শেওরাপাড়াসহ উত্তরা পর্যন্ত মেট্রোরেলের সব কয়টি স্টেশন।