রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘেঁষে নতুন করে শাহবাগ থানা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শাহবাগ থানা নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীর শাহবাগ থানা স্থানান্তর নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে নতুন সিদ্ধান্ত এসেছে। সাকুরা বারের পেছনে নয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘেঁষেই নতুন করে নির্মাণ করা হবে শাহবাগ থানা ভবন।’
শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, উত্তর দিকে মুখ করে যতটা কম জায়গা নিয়ে পারা যায় সুইটেবল জায়গায় শাহবাগ থানা ভবন নির্মান করা হবে। থানাটা একটুখানি রিলোকেট হবে, মোটামুটি কাছাকাছি জায়গায় থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বারডেম ও ঢাকা ক্লাবের কাছাকাছি একটা জায়গায় থানা নেওয়া হবে। উপদেষ্টারা জায়গা পরিদর্শন করে স্থান চূড়ান্ত করবেন।
আব্দুর রশীদ বলেন, এখন যে জায়গাটা থানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা অস্বাস্থ্যকর, সেখানে বিকল গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। ওগুলো সরিয়ে দেওয়া হবে। ওখানে ফুলের যে মার্কেটটা আছে সেটিও পুনর্বিন্যাস করা হবে।
তিনি বলেন, সাকুরার পাশে শাহবাগ থানাকে সরানো খুব একটা উপযোগী জায়গা বলে মনে হয়নি। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের বিখ্যাত হোটেলগুলোর একটি রয়েছে। যেখানে থানা স্থানান্তরের কথা বলা হচ্ছিল ওই জায়গার মালিক জায়গা দিতে চাচ্ছেন না।
এর আগে গত ৩ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের কারণে শাহবাগ মোড়ে থাকা শাহবাগ থানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্থানান্তর করে থানা ভবন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে সাকুরা রেস্তোরাঁর পেছনে নেওয়ার কথা হয়।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব জানান, বৈঠকে জুলাই-আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের ওপর আন্তর্জাতিক মানের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।