চট্টগ্রামের হাটহাজারী বনবিভাগে লোকবল ও আধুনিক অস্ত্র সরন্জাম অভাবে দাপ্তরিক এবং মাঠ পর্যায়ে ব্যাহত হচ্ছে কার্যক্রম। উত্তর বনবিভাগে উপজেলা চবি, পৌরসদর, চারিয়া, মির্জাপুর আওতায় সদর বিট। অন্যদিকে ফরহাদাবাদ, ধলই, হাটহাজারী-ফটিকছড়ি সীমান্তে উত্তর সত্তা একাংশ নিয়ে মন্দাকিনী বিট গঠিত। এই দুই বিটে মোট জনবল যেখানে ৫০-৬০জন থাকার কথা সেখানে রয়েছে ১৫ জন। সেই সাথে নিরাপত্তার জন্য পুরনো আমলে অস্ত্র ও সরঞ্জাম। সরজমিনে গিয়ে দেখায় যায়, প্রতি ১ হাজারে একরে একটি বিট থাকার দরকার,সেখানে উপজেলার সদর ও মন্দাকিনী বিটের অধীনে প্রায় ১৫ হাজার একর বনভুমি। যার ফলে বনজ সম্পদ নিরাপত্তা দিতে হিমসীম খাচ্ছে ঐ দুই বিটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তবুু এই সল্পতা নিয়ে দিনের বেলায় জোড়াতালি দিয়ে বনজসম্পদ নিরাপত্তা দিতে পারলেও রাতের বেলায় তা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বনজসম্পদ উজার করে দিচ্ছে বনদর্শীরা।বিশেষ করে ধলই, ফরহাদবাদ, মির্জাপুর এলাকায় গহীন বনে বনকর্মীরা জনবল ও সরঞ্জামের অক্ষমতার কারণে বনদর্শীরা রাতের বেলায় নির্বিচারে কেটে ফেলছে। হাটহাজারী বিট কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জনবল সংকট কারণে বন সমৃদ্ধ করণ বা রক্ষা করার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই বিভাগ আধুনিকায়ন করা গেল দেশের বনজ কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছাতে পারবে।বর্তমান দাপ্তরিক জটিলতা কারণে জনবল মধ্যে হতাশা কাজ করছে, যে সামন্য জনবল রয়েছে ফলে বন রক্ষা ব্যাহত হচ্ছে।এই সংকট উত্তরনের জন বন উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ আশুদৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। এবিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে লোকবল সংকট রয়েছে তা সঠিক।যদি লোকবল পর্যাপ্ত থাকত তাহলে বনদর্শী ও বনে ক্ষতি সাধন যারা করে তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর হতে পারতাম। তবুও আমরা যেটুকু জনবল রয়েছে তা দিয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি বনায়নকে সমৃদ্ধ করতে ।তারপরও এ বিষয়ে আমার উধ্বর্তন কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করব।