নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় একই জমি চারজনের কাছে বিক্রি করে প্রতারণার করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা কায়সার-ই আলম প্রধানকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। গত সোমবার দুপুরে নরসিংদীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট ৩য় আদালতের বিচারক মো. মেশকাতুল ইসলাম তার জামিন আবদেন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।অভিযুক্ত কায়সার-ই আলম প্রধান বেলাব উপজেলার ধুকুন্দি গ্রামের আব্দুল গফুর মাস্টারের ছেলে। তিনি জুপিটার পাবলিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেলাব উপজেলার ধুকুন্দি গ্রামের আরিফুর রহমান কায়সারের কাছ থেকে উজিলাব মৌজায় ৯.২৫ শতাংশ জমি কেনার কথাবার্তা ঠিক হয়। তারা জমির মূল্য ২৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করে। পরে কথামত আরিফুর দুই ধাপে ২৩ লাখ টাকা পরিশোধ করে। পরে ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর কায়সার আলম দলিল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বেলাবো সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দলিল সম্পাদনের জন্য ১০ পাতা স্ট্যম্পে স্বাক্ষর ও টিপসই করেন। কিন্তু সাব রেজিস্ট্রার অফিসে রেজিষ্ট্রেশন না করে সেখান থেকে কৌশলে চলে আসে। পরে জানা যায়, উক্ত জমি আরও চারজনের কাছে বিক্রি করেছেন তিনি। তার জালিয়াতির কথা জানতে পেরে ভুক্তভোগী টাকা ফেরত চাইলে কায়সার তাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেয়। পরে আরিফুর রহমান নরসিংদীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেটের বেলাব আমলী আদালতে কায়সার-ই আলম প্রধানকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নামে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত বেলাব থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে বেলাব থানার এসআই আজিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দাখিল করেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিজ্ঞ আদালত আসামিদের সমন জারি করে। সমন প্রাপ্ত হয়ে কায়সার ও ৪ নাম্বার আসামি নাজমুল ইসলাম সোমবার বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে। আদালত সকল কিছু পর্যালোচনা করে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় কায়সারের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। আর আসামী নাজমুলের জামিন মঞ্জুর করে বাকি অনুপস্থিত অপর দুই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার হালিম জানান, বাদী সরল বিশ্বাসে জমি কেনার জন্য তাকে টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সে বাদীর কাছ থেকে জমি বিক্রির টাকা নিয়ে আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আমরা আদালতে তার সই করা সকল আসল ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছি। যার ফলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক সকল কিছু বিবেচনা করে তাকে কারাগারে প্রেরণ কারার নির্দেশ প্রধান করেন। বর্তমানে আসামী নরসিংদী জেলা কারাগারে আটক রয়েছে।