পঞ্চগড়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে পাষণ্ড স্বামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে বিচারিক আদালত। তার বাড়ি পঞ্চগড়ের আটোয়ারি উপজেলার দক্ষিন সূখ্যাতি গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আনারুল ইসলাম (৪৮)। গত মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড় জজ আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম রেজাউল বারি এই দন্ডাদেশ দেন। আদালত সুত্রে জানা যায় গৃহিনী জোসনা বেগমের সাথে তার স্বামী আনারুলের ইসলামের প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ লেগে ছিল।এক পর্যায়ে আনারুল ইসলাম জোসনা বেগমকে শারিরিক নির্যাতন করেছিল। এ নিয়ে বার বার শালিশী বৈঠক হওয়ার পরও নির্যাতন থামেনি। গত ২০১৮ সালে ১৭ মে জোসনা বেগম বাড়িতে একা থাকার সুযোগে সলেমান আলী ও তার সহযোগী দুইজন মিলে জোসনা বেগমকে এলোপাথারি মারপিট সহ গূরুতর জখম করে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে জোসনা বেগমের ছেলে ফরহাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে জোসনার পরিবারের লোকজন এসে লাশ উদ্ধার করে। পরে জোসনার ভাই শহিদুল ইসলাম ওই দিনই আটোয়ারি থানায় একটা হত্যা মামলা দায়ে করেন। মামলা দায়েরের ১০ দিনের মাথায় আসামি সলেমান আলীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরদিন গত ২০১৮ সালের ২৮ মে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে যায় সলেমান আলী। পরে পুলিশ বাদীর অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পায় এবং আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। আদালতে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া এবং ২৪ জনের স্বাক্ষ্য প্রমাণ দেওয়া শেষে রায়ের তারিখ ধার্য ছিলো। ৩০২ ধারার অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় আসামির উপস্থিতিতে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন বিচারক। বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট খলিলুর রহমান জানান আদালতে প্রায় ছয় বছর বিচারিক কার্যক্রম চলে। আদালতে বাদী এবং স্বাক্ষিদের জেরা করে ৩০২ ধারার অপরাধ প্রমানিত হয়। ২৬ নভেম্বর রায়ের তারিখ ধার্য্য হয়। আজ আসামির উপস্থিতিতে সলেমান আলীকে মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষণা করা হয়।পঞ্চগড় বারের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আদম সূফি জানান এ রায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ রায়ে অপরাধীরা সচেতন হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ রকম হত্যাকান্ড ঘটাতে ভয় পাবে।