গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ ডাঃ মিলন দিবস এর ৩২তম বার্ষিকী উপলক্ষে ১৯৯০ সনের এই দিনে সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদের ঘাতক চক্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)’র তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব ডা. শামস উল আলম খান মিলনকে গুলি করে হত্যা করে। শহীদ মিলনের রক্তে জেগে ওঠা ছাত্র—গণঅভ্যুত্থান জেনারেল এরশাদকে পদত্যাগে বাধ্য করে।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আজ সকাল ৮.৩০ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গনে ডা. মিলন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সকাল ৯.৩০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি চত্বরে শহীদ ডা. মিলনের বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন ৯০’র ছাত্র—গনঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দানকারী সাবেক সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’র নেতা সাবেক সাংসদ ছাত্রনেতা নাজমুল হক প্রধান, নুর আহমেদ বকুল, শফি আহমেদ, রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিরাজুম মুনীর, বেলাল চৌধুরী, জায়েদ ইকবাল খান, রাজু আহমেদ, জাকির হোসেন রাজু, কামাল হোসেন বাদল, কলিন্স, আকরাম হোসেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক নজরুল কবির, কায়ুম হোসেন, মুকুল রহমান প্রমূখ।
মুক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্র নেতা ও সাবেক সাংসদ নাজমুল হক প্রধান, নুর আহমেদ বকুল, শফি আহমেদ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সামরিক জান্তা স্বৈরাচারী শাসকের ঘাতকের গুলিতে নিহত শহীদ ডা. মিলনের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে গণ—অভ্যুত্থান হয়েছে। তাঁর আত্মত্যাগ ও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি সার্থক হবে, যখন তিন জোটের রূপরেখা দল নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
বক্তারা আরো বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতনের পর পরবর্তী সরকারগুলো ছাত্রদের প্রবর্তিত ১০ দফা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, স্কপ, নারী জোট, ১৭টি কৃষক সংগঠনের দাবি সমূহ বাস্তবায়ন করেনি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হলেও এখনো পর্যন্ত স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা দাবী করছি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।