প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে । এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে । এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে ০১ জন প্রতারককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মো.ইলিয়াস (৫১) বলে জানা যায়। এসময় তার নিকট থেকে ০১ মোবাইল ফোন ও প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া নগদ- ১০,৫০০/- (দশ হাজার পাঁচশত) টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী গত ১৩/১১/২০২২ তারিখ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিম মো.ফারুক’কে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো.রেজাউল পরিচয় দিয়ে ঢাকা হতে মাদারিপুর বদলী জনিত কারণে তার বাসার মালামাল স্থানান্তর করার জন্য একটি পিকআপ ১২,০০০/- টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে। অত.পর সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড এর শ্যামলী কাউন্টারের সামনে আসতে বলে। ভিকটিম ফারুক তার কথামতো উক্ত স্থানে গেলে আসামী ইলিয়াস চেক ভাঙ্গিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফারুক এর নিকট থেকে লেবারের মজুরির টাকা দেওয়ার কথা বলে ২৬,০০০/- টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ইলিয়াস বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পিকআপ, মিনি-ট্রাক ও ট্রাক ড্রাইভারদের নিকট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিজেকে পুলিশ, র্যাব ও বাংলাদেশ সেনা বহিনীর ভুয়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মালামাল পরিবহনের উদ্দেশ্যে পিকআপ, মিনি-ট্রাক ও ট্রাক ভাড়া করে তার সুবিধাজনক স্থানে ডেকে এনে ড্রাইভারের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ০৫টি মামলা (০৩টি প্রতারণা মামলা ও ০২টি মাদক মামলা) রয়েছে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিকটিম মো.ফারুক মাতুব্বর (৪৭) বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।