র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধীসহ বিভিন্ন প্রকার চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ০৩ নভেম্বর র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানাধীন নতুন আলীবহর এলাকা ও যাত্রাবাড়ী থানাধীন দক্ষিন যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করাকালীন ০৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ খোকন (৩৪), ২। মোঃ আলমগীর (৩৫), ৩। পরান দেওয়ান (৩৩) ও ৪। মোঃ সারোয়ার হোসেন লিংকন (৩৩) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ০২টি মোবাইল ফোন, ০২টি কাঠের লাঠি ও আদায়কৃত চাঁদা নগদ- ১১,৯৭০/- (এগারো হাজার নয়শত সত্তর) টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া একই তারিখ র্যাব-১০ এর অপর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার শাহবাগ থানাধীন ওসমানী উদ্যান এলাকা ও কামরাঙ্গীরচর থানাধীন পূর্ব রসুলপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০৩ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ সিজান (২৩), ২। মোঃ রিপন (২২) ও ৩। মোঃ ইব্রাহিম (২১) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ০৩টি চাকু, ০২টি মোবাইল ফোন ও নগদ- ২,৬৮০/- (দুই হাজার ছয়শত আশি) টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, শাহবাগ ও কামরাঙ্গীরচরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরীসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করত এবং পথচারীদের ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা ও মোবাইলসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ ছিনতাই করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।