মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি পরাজয়ের গ্লানি এখনো ভুলে যায়নি। তারা এখনো দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর ও জীবননগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এ ছাড়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, জেলা, উপজেলাসহ দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা, ওষুধ, টেস্ট যা প্রয়োজন সবই বিনামূল্যে করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারই সবসময় কাজ করেছে। আর অন্যরা যখন ক্ষমতায় ছিল শুধু লুটপাট করেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগর টগর, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিকসহ সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতারা সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জীবননগর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। দেশের ৬৩ জেলা ও ৪৭০ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে প্রায় ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৩ জেলা ও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২১ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।