মেজর (অব.) সিনহা হত্যার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সিনহার তথ্যচিত্র নির্মাণ কাজের সহযোগী সিফাত কারাগার থেকে মুক্তি পান দুপুরে। পরে নম্বরবিহীন একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে তাকে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাদের সঙ্গে র্যাব ও তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে।
সোবার এক ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য দেন র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘সিফাত একটু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি খুব ট্রমার মধ্যে আছেন। এজন্য আমরা একটু সময় নিচ্ছি। মানসিক চাপ কমলেই আমরা তার সঙ্গে কথা বলবো। শিপ্রা দেবনাথও তার নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে রয়েছে। তার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। শিপ্রা এ মর্মান্তিক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান। আমাদের জানিয়েছেন, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দেখে যেতে চান।’
সিফাত ও শিপ্রা দুজনের সঙ্গেই র্যাবের যোগাযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনের তারা আমাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। আমরাও সার্বক্ষণিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এমনকী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গেও তাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আর তারা যদি কোনো ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত।’
মামলায় অভিযুক্তদের রিমান্ড ও সাক্ষ্যগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে চার আসামিকে কারাফটকে দুদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বাকি তিনজনের বিষয়ে আমরা একটু আস্তে-ধীরে এগোচ্ছি। মামলার কার্যক্রম আরেকটু গুছিয়ে রিমান্ডের আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে।’
এর আগে বেলা ১১টায় সিফাতের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ। আগের দিন রোববার দুপুরে জামিন পান সিনহার দলে থাকা আরেক সদস্য শিপ্রা দেবনাথ। সিফাত ও শিপ্রা স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা।