দিনাজপুর হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক দিনে ৭১ ট্রাকে ১৮ হাজার ২০০ টন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানি বেশি হওয়ায় আলুর দামও কমেছে কিছুটা। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ভিড় জমাচ্ছেন হিলি স্থলবন্দরে।
বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) দুপুর থেকে একে একে বন্দরে আসতে থাকে আলু বোঝাই ৭১টি ট্রাক।
আলুর পাইকারি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম রনি জানান, বৃহস্পতিবার এত পরিমাণ আলু আমদানি হয়েছে যা বিগত দিনের থেকে অনেক বেশি। দুই গাড়ি কাটিনা স্ট্রিক আলু কিনলাম। ৫৩ টাকা কেজি দরে আলুগুলো পাঠাবো বরিশালে।
আরেক পাইকার আশরাফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন হিলি বন্দর থেকে আলু-পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাই। আজকের দুই গাড়ি ডায়মন্ড জাতের আলু কিনলাম ৪৮ টাকা কেজি দরে। দুইদিন আগেও দাম ছিল ৫২ টাকা। প্রতি কেজিতে চার টাকা কমে কিনলাম। আলুগুলো পাঠাবো চিটাগাংয়ে। দাম যদি এভাবে কমে তাহলে আমাদের জন্য অনেক ভালো। গ্রাহকদের জন্যেও ভালো।
হিলি বাজারের আলু ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা পাইকারি যা দামে কিনি তার থেকে ১ টাকা থেকে ২ টাকা কেজিতে বেশি দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করি। বন্দরে আলুর আমদানি কম ছিল জন্য দামও বেশি ছিল। তখন কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বন্দরে আলুর আমদানি বেশি হওয়ায় কেজি প্রতি ৪ টাকা কমে আলু বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে আলু কিনতে আসা রিমন ইসলাম বলেন, তিন দিন আগে দুই কেজি আলু কিনছি ৫৮ টাকা কেজি দরে। আজ কিছুটা দাম কমছে। কখন দাম বাড়ে আর কখন কমে তা বুঝা মুশকিল।
আলু আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন জানান, চাহিদা থাকায় মূলত আলু আমদানি করা হচ্ছে। হিলি বন্দরে অনেক পাইকার আসছেন আলু কিনার জন্য। আলুগুলো আমরা বন্দর থেকে বিক্রি করে থাকি। সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে, ভারতের বাজারে প্রতিনিয়ত আলুর দাম বাড়ছে। সেখানে আলুর দাম না বাড়লে আলু কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হতো।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এর আগে অল্প কিছু আলু আমদানি হলেও এখন প্রতিদিনই আলুর আমদানি বাড়ছে। আলু যেহেতু পচনশীল পণ্য তাই কাস্টমসের শুল্কায়নসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষে বন্দর থেকে দ্রুত ছাড়করনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। যাতে করে ব্যবসায়ীরা দ্রুত সেগুলো বাজারজাত করতে পারেন।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার এক দিনে ৭১ ট্রাক আলু আমদানি হয়েছে।