মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে খড়েরপালা ভস্মীভূত হয়ে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব আটপাড়া এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আশারঞ্জন দত্তের ছেলে সুকুমার দত্ত এব্যাপারে পুলিশের সহতায়তা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দিলে তারা ফায়ার সার্ভিসে সংবাদ দিতে বলেন। ভুক্তভোগীর কাছে ফায়ার সার্ভিসের নম্বর না থাকায় আশ পাশের লোকজন ও সেলু মেশিনের সহায়তায় পানি দিয়ে ২ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। ভুক্তভোগী সুকুমার দত্ত জানান, ঘটনার দিন রাতে আমি নিজ রাড়ীতে ছিলাম। আমার খড়ের পালার দক্ষিনের পাশের ঘরে থাকা প্রতিবেশী ভাগনি জুনু’র আগুন আগুন চিৎকার শুনে আমি বেড়িয়ে এসে দেখি আমার খড়ের পালায় কে বা কাহারা আগুন দেয়াতে পালা দাউ দাউ করে জ্বলছে। তখন আমিও চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন চলে আসে। পরে আমি ৯৯৯ নন্বরে কল দিয়ে সহায়তা চাইলে তারা আমাকে ফায়ার সার্ভিসে জানাতে বলে। ফায়ার সার্ভিসে যোগাযোগ না করতে পেরে স্থানীয় লোকজন ও সেলুন মেশিনের পানি দিয়ে প্রায় ২ঘন্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ততক্ষনে আমার খড় পুড়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়। ভুক্তভোগী আরো জানান, আমার প্রতিবেশী ভাগনী দেবরাণী দাসকে গত ১৪বছর পূর্বে ফরিদ পুরের ভাঙ্গা উপজেলার পুলিয়া এলাকার রবিন্দ্র দাসের সাথে বিয়ে দেই। তাদের ঘরে ১২ ও ৮ বছর বয়সী দুটি মেয়ে আছে। ঐ এলাকার হেলাল মিয়ার বখাটে ছেলে ইদ্রিস আমার ভাগনিকে মোবাইল ফোনে কু-প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করত। এজন্য আমার ভাগনি জামাই ভাগনি ও তার সন্তানদের নিয়ে আমাদের এলাকায় চলে আসলে ইদ্রিস আটপাড়া এলাকার মামুনের ছেলে বন্ধু নাহিদ ও সত্তরের ছেলে নাহিদের মাধ্যমে ভাগনী দেবরানীর খোঁজ খবর নেয় এবং ভাগনি জামাই রবিন্দ্র’র মোবাইল নাম্বারের ইদ্রিসের ব্যবহৃত একাধিক নাম্বারের ফোন দিয়ে নানা প্রকার ভয়ভীতিসহ প্রান নাশের হুমকি দেয়। এতে রবিন্দ্র বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় জিডি নং ১২৮৭(৮)২৩ দায়ের করেন। গত কয়েকদিন পূর্বে ইদ্রিস আমার বড় ভাগনী জুনুর মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে নানা প্রকার ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন করে। আমার সন্দেহ ইদ্রিস ভাগনী জামাই রবিন্দ্র’র সাথে শত্রুতার জের ধরে তার সঙ্গীয় আমাদের এলাকার নাহিদদের সহায়তা নিয়ে আমার খড়ের পালায় আগুন দিয়েছে। আটপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, আমার ওয়ার্ডের মামুনের ছেলে নাহিদ ও সত্তরের ছেলে নাহিদের সাথে ইদ্রিসের সম্পর্ক রয়েছে। নাহিদের সহায়তায় ইদ্রিস সুকুমারের খড়ের পালায় আগুনে দিয়েছে বলে আমাদের সকলের সন্দেহ হয়। শ্রীনগর থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এএসআই) জিয়াউল হক বলেন, আমার কাছে যে জিডি রয়েছে তা তদন্ত করতেছি।