গত আসর যেখানে শেষ করেছিলেন, ঠিক সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন ব্র্যান্ডন কিং। গতবারের ফাইনালে ৫০ বলে অপাজিত ৮৩ করে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। এবার শুরু করলেন ৫৩ বলে ৮১ রানের ইনিংসে। তার দলের পথচলাও শুরু হলো একইভাবে। জয় দিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু করল জ্যামাইকা তালাওয়াহস।
সিপিএলের নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচে বুধবার (১৬ আগস্ট) সেন্ট লুসিয়া কিংসকে ১১ রানে হারায় জ্যামাইকা তালাওয়াহস। গত সিপিএলের ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট ব্র্যান্ডন কিং এবারও টুর্নামেন্ট শুরু করলেন রাজার মতোই। এই মৌসুমে দলের নেতৃত্বের ভারও তার কাঁধে। নিজের দারুণ ব্যাটিং আর দলের জয় মিলিয়ে তার এই অধ্যায়ের শুরুটাও হলো দুর্দান্ত। কিছুদিন আগেই ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ৫৫ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজ জয় এনে দেন কিং। জাতীয় দলের সেই ফর্মকে বয়ে আনলেন তিনি সিপিএলে।
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা জ্যামাইকাকে ৫ ওভারে ৪৪ রান এনে দেয় কিং ও কার্ক ম্যাকেঞ্জির উদ্বোধনী জুটি। ১১ বলে ২০ রান করে আউট হয়ে যান ম্যাকেঞ্জি।এরপর জ্যামাইকার আর কোনো ব্যাটসম্যান ২০ ছুঁতে পারেননি। দলকে ১৮তম ওভার পর্যন্ত টেনে নেন কিং। ৩৯ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর তিনি ঝড় তোলেন আরও। ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৮১ করে বিদায় নেন তিনি। মাঝে ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ৬ বলে করেন ১৫। শেষ দিকে ইমাদ ওয়াসিমের ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ১৯। জ্যামাইকা ২০ ওভারে তোলে ১৮৭ রান।
রান তাড়ায় সেন্ট লুসিয়া চতুর্থ ওভারে হারায় অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিকে (৮)। ওপেনিংয়ে জনসন চার্লস ২৪ রান করেন ২২ বলে। তিনে নেমে জিম্বাবুয়ের শন উইলিয়ামস আউট হন ২২ বলে ২৬ রান করে। জ্যামাইকার পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম ও অস্ট্রেলিয়ান অফ স্পিনার ক্রিস গ্রিনের সামনে খেই হারান সেন্ট লুসিয়ার ব্যাটসম্যানরা। সিকান্দার রাজা বিদায় নেন ১০ বল খেলে কেবল ৪ রান করে। রোস্টন চেইস অবশ্য স্রোতের বিপরীতে চেষ্টা করে যান। শেষ দিকে তার সঙ্গে যোগ দেন রোশন প্রাইমাস। জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে ৮৪ রান লাগত সেণ্ট লুসিয়ার। চেইস ও প্রাইমাস দারুণ কিছু শট খেলে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান।
২ ওভারে যখন লাগে ৩২ রান, তখন মোহাম্মদ আমিরকে ছক্কায় ওড়ান প্রাইমাস। ওই ওভারে আমির ওয়াইড করেন তিনটি। ওভার থেকে রান আসে ১৩। তবে ২০ বলে ৩৭ রান করে প্রাইমাস রান আউট হয়ে যান। শেষ ওভারের প্রথম বলে পাকিস্তানি পেসার সালমান ইরশাদ ফিরিয়ে দেন চেইসকেও। ৩১ বলে ৫৩ রান করে তার বিদায়ে শেষ হয়ে যায় সেন্ট লুসিয়ার সম্ভাবনাও। শেষ ওভারে আরও একটি উইকেট নিয়ে ইরশাদ রান দেন কেবল ৭। সেন্ট লুসিয়া থমকে যায় ১৭৬ রানে। ৪ ওভারে ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন ইমাদ, ২৮ রানে ২টি গ্রিন। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচের সেরা ব্র্যান্ডন কিং।