প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হকের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা জানালেন বন্ধুপ্রতিম ৬ দেশের ৮ জন সামরিক উপদেষ্টা। বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ডিজিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হক বলেন, আমরা আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। আমার সঙ্গে বাংলাদেশে নিয়োজিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে নিয়োজিত ডিফেন্স অ্যাটাশে, সামরিক উপদেষ্টা বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন।
বিদেশি এসব সামরিক কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ডিজিএফআই প্রধান বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয়, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর অবদান সারা বিশ্বের কাছে একটি দৃষ্টান্ত। জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেটার প্রতি সারা বিশ্বে যে অসম্ভব শ্রদ্ধা এবং সম্মানবোধ রয়েছে তার বহিঃপ্রকাশ করার জন্য তারা এখানে এসেছেন। তাদের সম্মানের স্থানটি আমাদের অবগত করেছেন। এখানে এসে তারা খুবই শ্রদ্ধার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলেছেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্স অ্যাটাশে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জন ডেম্পসি, চীনের ডিফেন্স অ্যাটাশে সিনিয়র কর্নেল দু জিংশিং এবং সহকারী ডিফেন্স অ্যাটাশে কর্নেল কিউ হাইমো, ভারতের ডিফেন্স এডভাইজার ব্রিগেডিয়ার মানমিত সিং সাবরওয়াল ও সহকারী ডিফেন্স এডভাইজার স্কোয়াড্রন লিডার আভুতোষ শর্মা, নেপালের মিলিটারি অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রোশান শামসের রানা, রাশিয়ার মিলিটারি এয়ার অ্যান্ড নেভাল অ্যাটাশে কর্নেল সার্গেই ভিক্টরভিচ নেদেনভ, যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র ডিফেন্স অফিসিয়াল এবং ডিফেন্স অ্যাটাশে লে. কর্নেল নিকোলাস এনজি।
শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে ডিজিএফআই প্রধানের নেতৃত্বে বিদেশি এসব ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা ধানমন্ডি ৩২-এর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। তারা ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিময় এ বাড়িটির বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে যে হত্যা করা হয়েছিল তার ক্ষতচিহ্ন এবং বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনী অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পরিদর্শন করেন। এরপর তারা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।