বরিশালে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সব শেষ গত ২৪ ঘণ্টায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন ডেঙ্গু রোগীর (মো. মমিনুল, বয়স ৮০) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ১৭ জনসহ বিভাগে ২৫ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ২৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী। বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ৯৭০ জন রোগী। এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পথসভা এবং লিফলেট বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার বেলা ১২টায় নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে পথসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। এ সময় পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পথসভায় জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশা সাধারণত ভোর বেলা ও সন্ধ্যার পূর্বে কামড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু জ্বর উপশম হয়। তবে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে। বর্ষার সময় এ রোগের প্রকোপ বাড়ে। এডিস মশার বংশবৃদ্ধি রোধের মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করা যায়। ঘরে এবং আশেপাশে কোন জায়গায় পানি জমতে দেয়া যাবে না। এতে এডিস মশার লার্ভা জন্মাতে পারে। ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা/নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারি শেল ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পড়ে। ব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে যাতে পানি না জমে। এছাড়া দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল মারুফ, সহকারী মো. মহিন উদ্দিন, মো. জাবেদ হোসেন চৌধুরী, দেবযানী কর, রয়া ত্রিপুরা ও ফাইিজা বীসরাত হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।