জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের একটি শহরে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের আঘাতে নদীগুলো উপচে ওঠায় এবং ভূমিধসের সতর্কতা জারি করে শহরটির ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে মঙ্গলবার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
টাইফুন ল্যান দুর্বল হয়ে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়ে ভোর ৫টার দিকে (সোমবার ২০০০ জিএমটি) প্রশান্ত মহাসাগর থেকে জাপানের ওসাকা এবং কোবের বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোতে আছড়ে পড়ে। প্রবল বাতাস ও বর্ষণে ভয়াবহ দুর্যোগের সৃষ্টি করে।
জাপান সাগরের মুখোমুখি অবস্থানে থাকা টোটোরি শহর থেকে বিকেলে প্রায় ১ লাখ ৮২ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়ার সতর্কতা জারি করেছে। আবহাওয়া সংস্থা এই অঞ্চলে ‘অস্বাভাবিক’ ভারী বৃষ্টির পর এই সতর্কতা জারি করা হয়।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার সাতোশি সুগিমোতো সাংবাদিকদের বলেন, ‘জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাসিন্দারা এমন পরিস্থিতিতে রয়েছেন যেখানে অবিলম্বে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
সুগিমোতো বন্যার ঝুঁকির কারণে এই অঞ্চলের মানুষকে উঁচু জমিতে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
একটি স্থানীয় পরিষেবা সংস্থার হিসাব অনুসারে, বেশিরভাগই বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯,২০০টি পরিবার এখনও বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
কিয়োটোতে একটি সেতুর অংশ ভেসে গেছে এবং উড়ন্ত ধ্বংসাবশেষ স্থানীয় কমিউটার ট্রেনগুলোকে থামিয়ে দিয়েছে।
২৪০টি জাপান এয়ারলাইন পরিষেবা এবং নিপ্পন এয়ারলাইন্সের (এএনএ) ৩১৩টি ফ্লাইট বিশেষ করে ওসাকার পরিষেবাগুলোসহ শত শত ফ্লাইটের সাথে পরিকল্পনা অনুযায়ী এক্সপ্রেস বুলেট ট্রেনগুলো স্থগিত করা হয়েছে।
কিয়োডো নিউজ জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে ওসাকা উপসাগরের একটি কৃত্রিম দ্বীপে অবস্থিত কানসাই বিমানবন্দরে রাতে প্রায় ৬৫০ জন যাত্রী আটকে পড়ে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, জাপান সাগরে যাওয়ার আগে এবং ভøাদিভোস্টক উপকূল এবং রাশিয়ান দূরপ্রাচ্য অতিক্রম করার আগে মঙ্গলবার পুরোটা অঞ্চলে ঝড়ের তান্ডব চলবে।