জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র আব্দুল কাদের সেখকে মেয়রের পদ থেকে সরাতে মাঠে নেমেছে একাধিক চক্র। আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই নেতাকে মেয়রের পদ থেকে অপসারণ করতে প্রকাশ্য মাঠে নেমেছে তারা। মেয়রকে সরানোর চক্রান্তে ক্ষমতার প্রভাব খাটানোসহ বিভিন্ন স্থানে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। তিনবারের নির্বাচিত মানবিক মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ঘটনায় পৌরবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা গেছে, ইসলামপুর পৌরসভার টানা তিনবারের নির্বাচিত মেয়র আব্দুল কাদের সেখ। তৃণমূল থেকে উঠে আসা আওয়ামী লীগের নির্যাতিত নেতা আব্দুল কাদের সেখ মেয়র নির্বাচিত হবার পর অবহেলিত ইসলামপুরের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিক কাজে নিজেকে সব সময় নিয়োজিত রাখেন। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে মানুষ যখন তাদের স্বজনদের লাশ ফেলে পালিয়ে যেতেন তখন মানবিক এই মেয়র নিজ হাতে গোসলসহ দাফন কাফনের ব্যবস্থা করতেন। তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠে একাধিক চক্র। বিশেষ করে স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র বেশ সরব হয়েছে। জনপ্রিয় এই মেয়রকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করতে বিগ বাজেট মাঠে ছড়িয়েছেন। কব্জায় নিয়েছেন পৌরসভার কতিপয় কাউন্বিসলরকে। নানা ধরনের মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও কাল্পনিক অভিযোগ তুলে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করান। অভিযোগ উঠেছে, তারিখ বিহীন ওই আবেদনটি কোন তদন্ত ছাড়াই প্রতিবেদনও দাখিল করেছেন সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা। মেয়র আব্দুল কাদের সেখ এর বিরুদ্ধে কতিপয় কাউন্সিলরদের অভিযোগ, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি সম্পত্তি দখল করে ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণ এবং নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করার পূর্বেই ঠিকাদারকে বিল প্রদান করেছেন। ২০১২ সালে তিনি বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশন (বিজেএমসির) গুদামের জায়গা দখল করে মালামাল সরিয়ে নেয়, তারপর দ্রুত সেখানে মার্কেট তৈরি করে ৪২টি দোকান ঘর ভাড়া দেয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১২৪ টি সড়ক বাতি স্থাপনের টেন্ডার আহ্বান করে ১১৯টি বাতি স্থাপন করা হয়। অথচ সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব অভিযোগের কোনটাই বাস্তবতার সাথে মিল নেই। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা ১২৪ টি সড়ক বাতির ১২৪টিই সচল রয়েছে। শতভাগ কাজ বুঝে পাবার পরেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বিল প্রদান করা হয়েছে। সরকারি সম্পদ ভূমিদস্যূদের কাছ থেকে উদ্ধার এবং পৌর পরিষদ থেকে রেজুলেশন করে দরিদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসার সুযোগ করে দিয়েছেন। প্রতিটি অভিযোগই অসত্য বলে পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামপুর পৌরসভার একাধিক সচেতন মানুষ জানান, মেয়র কাদেরের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রসহ একাধিক প্রভাবশালী চক্র। তাকে মেয়রের পদ থেকে অপসারণ করতে প্রকাশ্য মাঠে নেমেছে চক্রটি। মেয়রকে সরানোর চক্রান্তে ক্ষমতার প্রভাব খাটানোসহ বিভিন্ন স্থানে কালো টাকা ছড়ানো এবং সরকারি বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভার একাধিক নাগরিক জানান, জনপ্রিয় এই মেয়রকে পৌসভার নাগরিকরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়ে ব্যানার পোষ্টার লাগানোর পরই চক্রটি আরো বেপরোয়া হয়েছে। এদিকে মানবিক মেয়র আব্দুল কাদের শেখের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের নানা ষড়যন্ত্রের খবর প্রকাশ্য আসায় ইসলামপুর পৌরবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে কথা বলতে ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।