গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সার্টিফিকেট বাণিজ্য ও বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিক সহ সাধারণ জনগণ। বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে হাসপাতালের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শ্রমিক নেতা মো: কামাল হোসেন মোল্যার নেতৃত্বে এসময় শ্রমিক নেতা মিন্টু কাজী, দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, তুহিন, দুদক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক, রাজিব, বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিক সহ শত শত মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল দীর্ঘদিন যাবৎ ভূয়া সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। প্রতি বছর শত শত ভূয়া সনদ দিয়ে কোর্টে মামলার জট তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ এতে হয়রানি হচ্ছে। হাসপাতালের এক শ্রেণির ডাক্তার, কর্মকর্তা- কর্মচারী ভূয়া সনদের সাথে জড়িত থেকে হাসপাতালকে ব্যবসায়ীক কেন্দ্রে রূপান্তরিত করছে। টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা সনদ সরবরাহ করছে। যা প্রত্যক্ষভাবে আমরা এর ভুক্তভোগী। বক্তারা আরও বলেন, ভূয়া সনদ বন্ধের বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকা ও সামাজিকভাবে আন্দোলন হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি। এই হাসপাতালে কোটি কোটি টাকার ভাউচার দেখিয়ে মেশিনপত্র কেনা হলেও আদৌও চালু করা হয়নি। এছাড়া যে সকল মেশিনপত্র রয়েছে তাও অকেজো। মানুষ বাধ্য হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা, খুলনা, বরিশাল চলে যাচ্ছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এলাকার জনগণ হয়েও উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। হাসপাতাল থেকে সরকারি বরাদ্দকৃত ঔষধ সঠিকভাবে জনগণ পাচ্ছে না। হাসপাতালের নোংরা পরিবেশ যেখানে রোগী থাকতেও অনীহা প্রকাশ করে। এসব অনিয়মের সঠিক তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সচিব, মহাপরিচালক, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী কামাল হোসেন মোল্যা।